November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, October 13th, 2021, 7:35 pm

তবে কি অর্থ বাঁচাতেই বিপ্লবকে দেশে পাঠানো!

অনলাইন ডেস্ক :

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বের পঞ্চম ধনী বোর্ডও। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফুলেফেঁপে উঠেছে বহু আগেই। এফডিআর আছে ৫৪৫ কোটি টাকার। এই এফডিআরসহ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিসিবির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮৩২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অথচ এত অর্থ যেই বোর্ডের, সেই বিসিবি-ই নাকি অর্থের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে রিজার্ভ হিসেবে রাখতে পারেনি! প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সরাসরি কিছু না বললেও তার কথাতেই মিলেছে তেমন ইঙ্গিত। করোনার সময়টাতে হুট করে যেকোনও ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তখন নানা বিধিনিষেধে সেই ক্রিকেটারকে খেলানো সম্ভব হবে না। পাশাপাশি ইনজুরির আশঙ্কা তো আছেই। বাংলাদেশের মতো নিউজিল্যান্ড কেবল একজন ক্রিকেটার রিজার্ভ হিসেবে রেখেছে। বাকি দেশগুলো একাধিক ক্রিকেটার রিজার্ভ হিসেবে নিয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সহযোগী দেশের মধ্যে আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়া পর্যন্ত দুজন করে ক্রিকেটার রিজার্ভ রেখেছে! তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের অবস্থাও ভীষণ নাজুক। সেই আফগানিস্তানও রিজার্ভ হিসেবে রেখেছে চার ক্রিকেটার। সমসংখ্যক ক্রিকেটার রিজার্ভ রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান তিন জন করে রিজার্ভ রেখেছে। সেখানে বিপ্লবকে পাঠিয়ে দেওয়ার যুক্তিতে রয়েছে অসঙ্গতি। বলা হচ্ছে, পেসারদের ইনজুরি বিবেচনায় নিয়ে রিজার্ভে শুধু রুবেল হোসেনকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখানেই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। তাহলে কি স্পিনারদের ইনজুরি ঝুঁকি নেই? সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপ প্রথম রাউন্ডের তিন প্রতিপক্ষ ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনির স্কোয়াডে রয়েছে লেগ স্পিনার। এই পর্ব উতরে সুপার টুয়েলভে উঠলে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়তে হবে। এই দেশগুলোর স্কোয়াডেও আছে প্রতিষ্ঠিত লেগ স্পিনার। বিপ্লব থাকলে অন্তত তার বিপক্ষে নেটে অনুশীলনের সুযোগ মিলতো বাংলাদেশের ব্যাটারদের। কিন্তু নির্বাচকদের ভাবনাতে সেসবের কোনও বালাই নেই। বিপ্লব ইস্যুতে কিছু দিন ধরে মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন প্রধান নির্বাচক। বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম কথা বললেন বিপ্লব ইস্যুতে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘ও (বিপ্লব) তো স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ছিল। আর যে সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে, এরপর অতিরিক্ত কাউকে সেখানে রাখা মুশকিল ছিল। স্ট্যান্ডবাই এত খেলোয়াড় রাখা সম্ভব নয় আসলে। আর দুইটা পেস বোলারকে নিয়ে একটু চিন্তার কারণ আছে, সে জন্য রুবেলকে সেখানে রাখা।’ প্রধান নির্বাচকের কথা অনুযায়ী এত ক্রিকেটার সেখানে রাখা সম্ভব না হলে অন্য দলগুলো কীভাবে তিন/চার জন ক্রিকেটার রিজার্ভ হিসেবে রেখেছে? প্রশ্নটা সেখানেই। কিন্তু প্রধান নির্বাচক বিষয়টি ধোঁয়াশাতেই রাখলেন। তাহলে কী অর্থ বাঁচাতেই বিপ্লবকে দেশে পাঠানো!