November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, October 15th, 2021, 9:03 pm

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি

বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ‘কৈলাসে দেবালয়ে’ ফিরলেন ‘দুর্গতিনাশিনী দেবী’, সাঙ্গ হল বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসবের। ছবিটি শুক্রবার রাজধানীর বছিলা থেকে তোলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয় বিসর্জন। একদিকে বিদায়ের বেদনা অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দে দেবীকে বিদায় জানান ভক্তরা। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল চারটার পর রাজধানীর সদর ঘাটের ওয়াইজঘাটে দেবী দুর্গার বিসর্জন শুরু হয়। করোনা থেকে মুক্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ সব ধরনের মঙ্গল কামনা ও অশুভকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। রাজধানীতে দুপুরের পর থেকেই একে একে আসতে থাকে প্রতিমাবহনকারী বিভিন্ন শোভাযাত্রা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রতিমাগুলো নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় বুড়িগঙ্গা নদীতে। তারপর মঙ্গলধ্বনি, উলুধ্বনি, শাঁখ আর ঢাকের ধ্বনিতে দেবী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় বুড়িগঙ্গায়। আবারও মঙ্গলবার্তা নিয়ে আগামী বছর যেন মা দুর্গা আগমন করেন বিসর্জনকালে সেই প্রার্থনা করেন ভক্তরা। বিকালে বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটে শাহজাহানপুর থেকে আসা বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পর আসে অন্যান্য পূজামন্ডপের প্রতিমা। বিসর্জনের আয়োজনের সঙ্গে আসা শাঁখারী বাজারের বাসিন্দা অঞ্জনা চৌধুরী বলেন, মা দেবী দুর্গা যেন সবাইকে ভালো রাখেন। তিনি যেন পুরো পৃথিবীকে ভালো রাখেন। অশুভ শক্তির বিনাশ করেন। পাশাপাশি তিনি যেন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করেন। এটাই আমাদের প্রার্থনা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত জানান, শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার দিন হওয়ায় দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিসর্জনের জন্য কোনও প্রতিমা মন্ডপ থেকে বের হয়নি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কৈলাসে স্বামীর কাছে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবছর রাজধানী ঢাকায় ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে। আর ঢাকা মহানগরীতে এই সংখ্যা ২৩৮টি। তবে গত বছরের মতো এবছরও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিজয়া দশমীতে শোভাযাত্রা হয়নি। এর আগে গত ৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। এবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টিতে। যা গত বছরের চাইতে এক হাজার ৯০৫টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে পূজা মন্ডপের সংখ্যা ২৩৮টি যা গতবছর থেকে ৪টি বেশি।