জেলা প্রতিনিধি:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, মাগুরার জগদলের চার খুনের ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতামূলক। এখানে প্রতিহিংসার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে সব প্রার্থী সমান সুযোগ ভোগ করবেন। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। এটা আমরা সব সময় চাই এবং হচ্ছেও। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসা পরায়ণ কার্যক্রম এবং এমন নৃশংসভাবে জীবন চলে যাওয়া এটা খুবই একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদের পরিবার পরিজনকে আমাদের সান্ত¡না দেওয়ার ভাষা নেই। একটা পরিবারের একজন সদস্য এভাবে মারা গেলে সেটা কত বেদনাদায়ক তা তারাই বুঝতে পারে। আমরা বুঝতে পারি না। এ জাতীয় ঘটনা কখনো ঘটা উচিত না। তিনি আরও বলেন, আমি অনুরোধ করবো স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে যেভাবে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন এই পরিস্থিতি এভাবেই যেন বিরাজমান থাকে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা দরকার। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে সব কিছু হয় না। প্রশাসন চলে আইনকানুনের মাধ্যমে। যারা এলাকায় থাকেন সামাজিকভাবে তাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। কে এম নূরুল হুদা বলেন, যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের যেন চিহ্নিত করা হয়। কোনো নিরপরাধী ব্যক্তিকে যেন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত না করা হয়। সে ব্যাপারে ভেবে চিন্তে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। প্রকৃত দোষীদের তদন্তের মাধ্যমে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণ মেনে চলে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা চাই নির্বাচন সবসময় ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে। যে যার অবস্থানে থেকে প্রচার প্রচারণা চালাবে সেখানে কেউ বাধা দিতে পারবে না। সবার জন্য গ্রহণযোগ্য আচরণবিধি তৈরি করা আছে। সেটা যদি মেনে চলে তাহলে সংঘাতের কোনো কারণই থাকতে পারে না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুর রশিদ, খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার ইউনুস আলী, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওলিউল ইসলামসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি