November 23, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 27th, 2021, 11:40 am

অসহনীয় তাপপ্রবাহ কমেছে, এবার ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক :

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অসহনীয় তাপপ্রবাহ কমেছে। তবে আগামী দুই দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় যশ ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। তবে পূর্ণিমার কারণে শঙ্কা রয়েই গেছে। সাগরে জোয়ারের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি বেড়ে গিয়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশে ৬ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ভারতেও তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪ জেলার বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ভারতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এজন্য এখনো সমুদ্রবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। এছাড়া ৪০ থেকে ৮০ কিমি বেগে দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নদীবন্দরগুলোতেও দেয়া হয়েছে দুই নম্বর হুশিয়ারি সংকেত। কোথাও কোথাও এক নম্বর হুশিয়ারি সংকেতও তোলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরো ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বিকাল ৩ টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাস্বরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। এটি পরবর্তীতে আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে উপকূলীয় উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এদিকে বিশাল আকারের এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি আঘাত না করলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ছিল। ফলে ভরাকটালের সঙ্গে বায়ুতাড়িত জোয়ার জলোচ্ছ্বাস তৈরি করে। এই জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল ভেসে যায়। এতে বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।

কয়েকশ’ গ্রাম তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘেরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। নষ্ট হয়েছে উঠতি ফসল। জোয়ারের পানিতে ডুবে ও বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনার কয়রা ও বাগেরহাটের মোংলা।