নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে চার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে টাইগাররা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় লিটন মুশফিকের ব্যাটে। লিটন তুলেন নেন সেঞ্চুরি। ১৯৯ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। এর আগে, দলীয় ১৯ রানের মাথায় ১৪ রান করে ফিরে যান ওপেনার সাইফ হাসান। শাহীন আফ্রিদির একটি বাউন্স ঠেকাতে গিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার আবিদ আলির হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। অপর ওপেনার সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ রানের সময় তিনিও মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। হাসান আলির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ব্যাটার। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। মাত্র ৬ রান করেছেন তিনি। স্পিনার সাজিদ খানের বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ক্যাপ্টেন। এরপর দলের রানের খাতায় ২ রান যোগ করতেই দল হারায় আরো একটি উইকেট। এবার ফাহিম আশরাফের শিকার ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল শান্ত। তিনি সাজিদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এই তরুণও ১৪ রান করেন। ফলে ৪৯ রানেই চার উইকেট হারায় টাইগাররা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় লিটন মুশফিকের ব্যাটে ভর করে। লিটনের শতকের সঙ্গে মুশফিক ব্যাট করছেন ৭৭ রানে। বাংলাদেশের স্কোর ২৩৫। এর আগে, টচে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। এই ম্যাচে বাংলাদেশের ৯৮তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো উদীয়মান তারকা ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বির। সাকিব আল হাসান না থাকার কারণে অলরাউন্ডার রাব্বিকেই সুযোগ দেওয়া হলো এই টেস্টে। দীর্ঘদিন দলে থাকার পরও একাদশে সুযোগ না পাওয়া রাব্বির অপেক্ষার প্রহর অবশেষে শেষ হলো। এ ছাড়া পাকিস্তান দলেও টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক।
বাংলাদেশ দল: সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন।
পাকিস্তান দল: আব্দুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফাহিম আশরাফ, নওমান আলী, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সাজিদ খান।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান