নিউজ ডেস্ক :
দেশ থেকে কারা অর্থপাচার করছে সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই সংক্রান্ত তথ্য কারও কাছে থাকলে তা দিতে অনুরোধও জানান তিনি। সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় অর্থ পাচার প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরী দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। ওইসব ছাঁটাই প্রস্তাব তোলার সময় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, পুঁজিবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সমালোচনা করেন।
এসব সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমন লাগে, আমারও লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে।
আমরা সবাই চাই, এগুলো বন্ধ করতে হবে; বন্ধ হচ্ছে। আগের মত অবস্থা নেই। আগে সিমেন্টের নাম করে বালি আসতো। আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং আগের মত হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলবো না। পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই না।
মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী ছয় থেকে ১২ মসের মধ্যে ১৫টি আইন দেখতে পারবেন। এগুলো বন্ধ করার জন্য। আমি নিজে জানি কিভাবে এগুলো হয়। কারা করে জানি না।
অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, ইনএফেকটিভ ম্যানেজমেন্টের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করবো। নতুন নতুন আইন করবো। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব। কোন ‘টলারেন্স’ নেই এখানে। টাকা এখন দেশে আসে।
বিরোধী সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, নামগুলো আমাদের দেন। কাজটি করলে আমাদের জন্য সহজ হবে। এখনও অনেকেই জেলে আছে। বিচার হচ্ছে। আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন নেই।
জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আর্থিক খাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব সঠিক। কর্তৃত্ব দুর্বল। তিনি বলেন, দুদকের একটি অফিস কানাডায়, মালয়েশিয়ায়, অস্ট্রেলিয়ায় করুন। তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম