নিউজ ডেস্ক :
সারাদেশে নির্মিত একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে প্রধামনন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। কিন্তু কিছু লোক ধর্মের নামে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করছে। শুধু আমাদের দেশেই না, পুরো বিশ্বেই ধর্মের নামে মানুষ খুন করা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষ খুন করলেই নাকি বেহেশতে চলে যাবে। এখন আমার প্রশ্ন, যারা এ পর্যন্ত খুন করেছে তারা কে কে বেহেশতে গেছে? কেউ কি বলতে পারবে? কেউ পারবে না। কিন্তু সবচেয়ে সর্বনাশ করে গেছে শান্তির ধর্ম ইসলামের।’
‘আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর শ্রেষ্ট ধর্ম ইসলাম। কিন্তু কিছু লোক জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, খুন করে আমাদের এই পবিত্র ধর্মের বদনাম সৃষ্টি করছে। ফলে সারা বিশ্বে এই ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। সাথে ইমেজটাও নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বের কোথাও কিছু হলেই ইসলামের দোষ দেওয়া হয়।’
ভার্চুয়াল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং খুলনা জেলা সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ ও সিলেটের সুরমা উপজেলা সদর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মুসল্লিরা সংযুক্ত ছিলেন।
জানা গেছে, সারাদেশের ৩০টি জেলার ৫০টি উপজেলা সদরে ৫০ টি মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরও ১০০টি মসজিদ নির্মাণ শেষ হবে।
এ ক্যাটাগরিতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৬৯টি, বি ক্যাটাগরিতে উপজেলা সদরে ৪৭৫টি ও সি ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টিসহ মোট ৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্প চলমান।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মডেল মসজিদগুলোতে ১৩টি বিশেষ সুবিধার মধ্যে মসজিদে হজ্জ যাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে।
সুবিধাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরী, অটিজম কর্ণার, ইমাম ট্রেণিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষায় ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, লাশ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, ইমামের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম