অনলাইন ডেস্ক :
আগস্টে তালেবান বাহিনী কাবুল দখলের পর আত্মগোপনে যেতে শুরু করেন আফগান নারী সংসদ সদস্যরা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশটির ৬৯ নারী সংসদ সদস্যের মধ্যে ৬০ জনই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে, তাদের অনেকেই দেশটিতে নারী অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চান। আগস্টের মাঝামাঝিতে কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়তে শুরু করে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ। আত্মগোপনে যেতে শুরু করেন দেশটির নারী সংসদ সদস্যরা। বিবিসির মতে, দেশটির ৬৯ জন নারী সংসদ সদস্যের মধ্যে ৬০ জনই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তুরস্কে পালিয়ে আসা তেমন এক নারী সংসদ সদস্য, মাশিদ ছদ্মনামে কাবুল ছাড়েন। তালেবানের কাবুল দখলের পরপরই আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন মাশিদ। দুই সপ্তাহ আগে একটি বোরকা পরে বাইরে বের হন মাশিদ। সন্তানদের নিয়ে একটি বাসে করে ইরান সীমান্তের দিকে রওনা হন তিনি। টানা ১০ দিন ভ্রমণের পর নিজেকে তুরস্কে আবিষ্কার করেন মাশিদ। তালেবান চেকপয়েন্টে যদি তিনি শনাক্ত হতেন, তাহলে সেখানেই তাঁকে আটকে ফেলা হতো। মাশিদ জানান, তালেবান বাহিনী কখনো নারীদের আবৃত মুখ খুলতে বাধ্য করে না। তাছাড়া, একজন সংসদ সদস্য বোরকা পরতে পারে তালেবান কর্মকর্তারা তা কল্পনাও করেনি। তুরস্কে বেশিদিন থাকতে চান না মাশিদ। কারণ তাঁর ধারণা, তুর্কি কর্তৃপক্ষ তাঁকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকতে দেবে না। আফগানিস্তানে নারীরা এখন যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে তা বিশ্বকে জানাতে এবং পরিবর্তনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যেতে চান মাশিদ। মাশিদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেয়া আফগান নারী সংসদ সদস্যরাও আফগানিস্তানে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চান। চলতি বছর বিবিসির ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকার প্রায় অর্ধেক জায়গা দখল করেছে আফগান নারীরা।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু