অনলাইন ডেস্ক :
দারিদ্র্যপীড়িত ইয়েমেনের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত আরব জোটের অযৌক্তিক বর্বর আগ্রাসনের বিষয়ে নিজের অবস্থান কখনো পরিবর্তন করবেন না বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের সাবেক তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহি। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আগ্রাসনে সমালোচনা করার পর সৌদি চাপের মুখে তিনি গত শুক্রবার লেবাননের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে কোরদাহি পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছিলেন যে, “আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ, করছি না বরং বাইরে থেকে নির্মম চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশ এবং দেশের জনগণ ও সমর্থকদের স্বার্থ আমার নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে। জর্জ কোরদাহির চেয়ে লেবানন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রিত্বের ভূমিকার চেয়ে লেবাননের স্বার্থ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” ইরাকের আরবি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল আল-আলমকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জর্জ কোরদাহি জোরালো ভাষায় বলেছেন, ইয়েমেনের সৌদি আগ্রাসন সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তিনি সে সম্পর্কে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসবেন না। গত শনিবার তার ওই সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- তিনি ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন সম্পর্কে এখনো একই কথা বলবেন কিনা। জবাবে কোরদাহি বলেন, “আমি অবশ্যই একই মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করব। কারণ আমি এমন কোনো কথা বলি নি যা কাউকে আঘাত করতে পারে এবং আমি যা বলেছি তা সরল বিশ্বাস থেকেই বলেছি। আমার বক্তব্যের কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার লেবানন থেকে শুরু হয়েছিল। যদি লেবানন থেকে এই অপপ্রচার শুরু না হতো তাহলে এটি কারো অনুভুতিতেই লাগত না।” তিনি আবারো বলেন, বাইরের চাপের কারণেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। জর্জ কোরদাহি বলেন, “যখন আমি পদত্যাগ করি তখন বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করাটা আমার কাছে ভালো লাগে নি কিন্তু লেবাননের কল্যাণের জন্যই পদত্যাগ করেছি। এই মুহূর্তে লেবাননে অর্থনৈতিক সংকট এবং যদি চলমান সমস্যা না থাকতো তাহলে আমার পদত্যাগের কোনো কারণই ছিল না এবং সরকার থেকেও আমার পদত্যাগের ব্যাপারে বিরোধিতা করা হতো। তাছাড়া, পুরো লেবাননের জাঁতি এই পদত্যাগকে প্রত্যাখ্যান করতো।” তিনি বলেন, “৪০ দিন পর্যন্ত আমি চাপের মুখে ছিলাম এবং ৪০ দিন আমি চাপ প্রতিরোধ করেছি। আমি এই চাপ আমি চার বছর পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারতাম কিন্তু জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনায় নিতে হয়েছে।” পার্সটুডে
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু