অনলাইন ডেস্ক :
ড্রাফটের আগে ক্যাটেগরির অবনমন হয় এক দফায়। এরপর ড্রাফটেও ক্যাটেগরি নেমে যায় আরেক দফায়। এটিকে অপমানজনক মনে হচ্ছে কামরান আকমল। ড্রাফট থেকে পুরনো দল পেশাওয়ার জালমিতে ঠাঁই পেলেও তাই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যান। এবারের পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটের আগে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার হস্তক্ষেপে কিছু পরিবর্তন আনা হয় বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে। ৪০ ছুঁইছুঁই বয়সী আকমলকে ‘ডায়মন্ড’ ক্যাটেগরি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ‘গোল্ড’ ক্যাটেগরিতে। কিন্তু শেষ নয় সেখানেই। রোববার ড্রাফটে আকমলকে ‘গোল্ড’ ক্যাটেগরিতে নেয়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ‘সিলভার’ ক্যাটেগরিতে নামানো হলে তার পুরনো দল পেশাওয়ার নিজেদের শেষ ডাকে দলে নেয় আকমলকে। ৬ মৌসুম পেশাওয়ারে খেলা আকমল ড্রাফটের পরপরই টুইটারে নিজের হতাশা প্রকাশ করে জানান, এত নিচের ক্যাটেগরি তার প্রাপ্য নয়। সংবাদমাধ্যমকেও তিনি জানান, এই ক্যাটেগরি তরুণদের জন্য এবং এভাবে তিনি খেলবেন না। পরে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে আকমল বলেন, এখানেই তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেলেও তিনি সিদ্ধান্ত থেকে নড়বেন না। “এভাবেই যদি শেষ হয়ে যায়, হয়ে যাক। তবু আমি এতটা অপমান সয়ে খেলব না। এটা খুবই বিব্রতকর। ক্রিকেটারদের এভাবে মূল্যায়ন করা যায় না। এই লিগে যত রান করেছি আমি, আরও ভালো কিছু আমার প্রাপ্য।” “মানছি যে ক্যাটেগরি পুনর্বিন্যস্ত করেছেন রমিজ রাজা, ফ্র্যাঞ্চাইজির কোনো হাত ছিল না। কিন্তু সিলভার ক্যাটেগরি থেকে নেওয়া তো আরও অবনমন।” পিএসএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার আকমল (৬৯টি)। রান সংগ্রহের তালিকায় তিনি আছেন দুইয়ে। টুর্নামেন্টে তিনটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। মোট ১ হাজার ৮২০ রান করেছেন ২৭.৫৭ গড় ও ১৩৬.৮৪ স্ট্রাইক রেটে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে পেশাওয়ারের হয়েই তিনি খেলেছেন। পেশাওয়ারের কোচ ও সাবেক পেসার মোহাম্মদ আকরাম অবশ্য ড্রাফটের পরই সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, আকমলকে উপযুক্ত সম্মান তারা দেবেন। “কামরান সবসময়ই আমাদের হৃদয়ের কাছে আছে। পাকিস্তানের হয়েই শুধু তার অবদান নয়, পিএসএলেও সমর্থকদের বিনোদন জুগিয়ে আসছে সে ছয় মৌসুম ধরে। আমি ওকে আগেই বলে রেখেছি যে, সিলভার ক্যাটেগরিতে নিলেও দলের মেন্টর বানিয়ে আমরা ওকে গোল্ড ক্যাটেগরির সমান পারিশ্রমিকই দেব।” “এছাড়াও আমরা ওর জন্য বেনিফিট মৌসুম ঘোষণা করেছি এবং আমাদের আয়ের একটা সেটির মধ্যে পড়বে। বয়সের সঙ্গে বাস্তবতা বদলায় এবং আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। কাগজে-কলমে সে এখনও দলের সঙ্গে আছে এবং এজন্যই ওকে নিয়েছি আমরা।” পিএসএলের গত আসরে ১৬১.৯৩ স্ট্রাইক রেটে ২৫১ রান করেছিলেন আকমল। তবে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পাকিস্তানের জাতীয় টি-টোয়েন্টিতে তার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না মোটেও। ৭ ইনিংসে তিনি ১২৬ রান করতে পেরেছিলেন ১১১.৫০ স্ট্রাইক রেট ও ১৮ গড়ে। কোচ আকরাম সোমবার আকমলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি আকমলের কোর্টেই। “সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার এবং আশা করি, আমি তাকে এই মৌসুম খেলতে রাজী করাতে পারব। তবে দিনশেষে, সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের। তারা পেশাদার এবং যে কোনো কিছু করতে পারে।” পিএসএলের এবারের আসর শুরু হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা