রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জাপান কাজ অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়ন করতে সহায়ক হবে। বুধবার তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হবে।’
জাপানি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন জাপান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর সহযোগিতায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উন্নত জীবনযাত্রায় অবদান রাখবে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারের জন্য ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার অনুদানের জন্য জাপান সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই প্রকল্পে সহায়তা করা আমাদের অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি এটি উদ্বাস্তু ও স্বাগতিক উভয় সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।’
ইউএনএইচসিআর জানায়, তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের মাধ্যমে উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতালে নতুন ‘ইন-পেশেন্ট’ সুবিধা নির্মাণে সহায়তা করা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ৩৯টি স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি কেন্দ্রের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করা হবে।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশার বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর