অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের মহারাষ্ট্রের বীড় জেলার গ্রামে প্রায় ২৫০ কুকুরছানাকে উঁচু থেকে ছুড়ে মেরে ফেলা হয়। এসব হত্যার অভিযোগ উঠেছিল একদল হনুমানের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের দাবি, কুকুরদলের হাতে সন্তানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই এরকম কান্ড ঘটাচ্ছে হনুমানেরা। সেই ঘটনায় অবশেষে দুটি হনুমানকে ধরতে সক্ষম হয়েছে দেশটির বন দপ্তর। হনুমানদের আটক নিয়ে বন দপ্তরের অফিসার সচিন কাঁদ বলেছেন, বীড় জেলায় কুকুরছানাদের হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই হনুমানকে ধরা হয়েছে। নাগপুরের বন দপ্তরের দল ধরেছে তাদের। ধৃত দুই হনুমানকে নাগপুরের কাছে একটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মজলগাঁও থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে লাভুল গ্রাম। হাজার পাঁচেক মানুষের বাস ওই গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, বর্তমানে ওই গ্রামে আর কোনো কুকুরছানাই বেঁচে নেই। অভিযোগ, গত মাসে অন্তত ২৫০ কুকুকছানাকে মেরে ফেলেছে ‘ক্ষিপ্ত’ হনুমানের দল। গ্রামবাসীরা জানান, হনুমানদের প্রতিশোধের জেরেই এই অবস্থা। তারা জানিয়েছেন, একটি হনুমানের ছানাকে একদল কুকুর মেরে ফেলার পর থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। হনুমানের দল গ্রামের বাচ্চা, স্কুলছাত্রদের ওপর আক্রমণ করলে বন দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তারপর দুই হনুমানকে ধরতে সমর্থ হলো বন দপ্তর।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু