অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ১০ মিনিটে তিন গোল! ম্যাচের ভাগ্য যেন নির্ধারিত হয়ে গেল সেই সময়েই। জোড়া গোল করে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দিলেন করিম বেনজেমা। জয় দিয়ে বছর শেষ করার সঙ্গে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান সুসংহত করল রিয়াল মাদ্রিদ। সান মামেসে বুধবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। রিয়ালের তিন পয়েন্ট পাওয়ায় বড় অবদান আছে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ারও। চমৎকার কিছু সেভে ব্যবধান ধরে রাখেন তিনি। প্রতিপক্ষের মাঠে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেনের সফলতম দলটি। এই গোলে বড় অবদান আছে ভিনিসিউস জুনিয়রের। তার কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে টনি ক্রুস ডি-বক্সে খুঁজে নেন বেনজেমাকে। ফরাসি স্ট্রাইকারের চমৎকার বাঁকানো শট পোস্ট ঘেঁষে জড়ায় জালে। সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। বিলবাওয়ের বাজে ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসরে নিজের পঞ্চদশ গোলটি করেন বেনেজমা। এদেন আজার ঠিকমতো বল বাড়াতে পারেননি, ফরাসি ফরোয়ার্ডও ছিলেন অফসাইডে। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেনি বিলবাও। তাদের একজনের পায়ে লেগে বল পেয়ে মাটি ঘেঁষে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন বেনজেমা। মাত্র ২১ দিন আগে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত রিয়ালের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া বিলবাও জবাব দিতে বেশি দেরি করেনি। দশম মিনিটে ডি-বক্সের মাথা থেকে বুলেট গতির শটে ব্যবধান কমান ওইহান সানসেট। ২৩তম মিনিটে একটুর জন্য শট লক্ষ্েয রাখতে পারেননি বিলবাওয়ের উনাই ভেনসেদর। দুই মিনিট পর বেনজেমার প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন অস্কার দে মার্কোস। প্রতি আক্রমণ থেকে বল পায়ে এগিয়ে যাওয়া আজার নিজে গোলের জন্য শট না নিয়ে কাট ব্যাক করেন বেনজেমার জন্য। দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে মাঝপথে বল কেড়ে নেন দে মার্কোস। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে দুই দলই সুযোগ তৈরি করতে থাকে। কিন্তু প্রথমার্ধে আর জালের দেখা পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়ে যার ইনাকি উইলিয়ামস। কিন্তু একটুর জন্য লক্ষ্েয থাকেনি এই ফরোয়ার্ডের শট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণে মনোযোগ বাড়াতে থাকে রিয়াল। প্রচুর জায়গা পেয়ে তাদের চেপে ধরে বিলবাও। প্রতি আক্রমণে কয়েকবারই দ্রুত গতিতে বল নিয়ে এগিয়ে যায় রিয়াল। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে বারবার খেই হারায় তারা। ৭৮তম মিনিটে একটুর জন্য ইনাকির ক্রসের নাগাল পাননি তার ভাই নিকো উইলিয়ামস। এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে বিপদমুক্ত করেন কোর্তোয়া। তিন মিনিট পর আজারের শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি বিলবাও গোলরক্ষক। ৮৬তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে রিয়ালের ত্রাতা কোর্তোয়া। ইনাকির থ্রু বলে ছুটে গিয়ে পা ছোঁয়ান নিকো। কিন্তু এগিয়ে এসে স্লাইড করে দুই হাঁটু দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। শেষ দিকে প্রতি আক্রমণ থেকে রিয়ালের অন্তত তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাও গোলরক্ষক। কিন্তু নূন্যতম ব্যবধান আর ঘোচাতে পারেনি স্বাগতিকরা। এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান আরও সুসংহত করেছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে সেভিয়া। দিনের অন্য ম্যাচে গ্রানাদার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া শিরোপাধারী আতলেতিকো মাদ্রিদ ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে পাঁচে। এক পয়েন্ট কম নিয়ে সাতে আছে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা