নিজস্ব প্রতিবেদক:
গেল এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এতে টানা তিন সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বাড়লো ৩০ টাকা। মুরগির পাশাপাশি গেল এক সপ্তাহে বেড়েছে ফুলকপি ও শিমের দামও। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০-১৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫-১৭০ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগিরও। ব্যবসায়ীরা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২৯০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা। দুসপ্তাহ আগে এই মুরগির দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৫০-২৭০ টাকা। মুরগির দামের বিষয়ে কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী মো. সন্টু বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। ফলে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। এ কারণেই দাম বেড়েছে। বয়লার মুরগির দাম বাড়ায় সোনালী মুরগির দামও বাড়ছে। মালিবাগের ব্যবসায়ী হিরোন বলেন, মুরগির দাম মাঝে কিছুটা কমেছিল। ধারণা করছিলাম ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দাম কিছুটা কম থাকবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে যে হারে দাম বাড়ছে, তাতে যে কোনো সময় ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা হয়ে যেতে পারে। মুরগির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। তবে বাজারে নতুন আসা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এদিকে, সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৪০-৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। বিচি ছাড়া শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-৩০ টাকা। ফুলকপি ও শিমের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, বাজারে যে ফুলকপি ও শিম আসছে, সেগুলোর মান ভালো। বিচি ছাড়া শিমের সরবরাহও কিছুটা কম। ফুলকপির সাইজ আগের থেকে বড়। এ কারণে শিম ও ফুলকপির দাম একটু বেশি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে এসব সবজির দাম কমে যেতে পারে। অপরিবর্তিত রয়েছে বিচি শিমের দাম। আগের মতো বিচি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে নতুন আলুর। তবে বাজারে এখন বড় সাইজের নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। এই নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো ও গাজর। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, শাল গমের (ওল কপি) কেজি ৩০-৪০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। এগুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি