আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হামলার পর তাদের দু’জন কর্মী নিখোঁজ রয়েছে। ওই হামলার পর সেখান থেকে তারা ৩০টিরও বেশি লাশ উদ্ধার করেছে।
শনিবার একটি বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর হামলায় সেদিন কমপক্ষে ৩৮ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে সৈন্যরা তাদের গাড়ি থেকে বেশকিছু লোককে গ্রেপ্তার করেছে এবং কয়েকজনকে হত্যার পর তাদের লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, মানবিক কাজের পরে ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল তাদের দুই কর্মী, এই হামলায় তারা নিখোঁজ হয়েছেন।
সংস্থাটি বলেছে, আমরা নিশ্চিত যে তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রধান নির্বাহী ইনগার অ্যাশিং আরও বলেছেন, নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিক ও আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতায় আমরা আতঙ্কিত। আমাদের কর্মীরা নিবেদিত মানবতাবাদী মানুষ, তারা মিয়ানমার জুড়ে লাখ লাখ শিশুকে সহায়তা করতে প্রাণ বাজি রেখে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরোধিতাকারী মিলিশিয়াদের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স বলেছে, নিহতরা মিলিশিয়া সদস্য নয় বরং সংঘর্ষ থেকে দূরে যেতে চাওয়া বেসামরিক নাগরিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গ্রুপের একজন কমান্ডার বলেছেন, মৃতদেহগুলো দেখে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ নিহতেরা সবাই বিভিন্ন বয়সী নারী, শিশু ও বৃদ্ধা।
অন্যদিকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবার তারা ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর ওপর হামলা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে মিয়ানমার জুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর দফায় দফায় সেনাবাহিনীর হামলায় শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু