অনলাইন ডেস্ক :
মাদার টেরিজার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থার বিদেশি অনুদান পাওয়ার অনুমতি নবায়ন করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার। ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামের সংস্থাটির কয়েক হাজার নান পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ও অনাথশালার মত বিভিন্ন প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ন করছেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবেচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘নেতিবাচক তথ্য’ পাওয়ায় তারা নিবন্ধন নবায়ন করেনি। মিশনারিজ অব চ্যারিটি তাদের কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ভারতীয়দের ‘ধর্মান্তরিত করছে’ বলে হিন্দু কট্টরপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। তবে দাতব্য সংস্থাটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। গত সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের বিদেশি অনুদান অনুমোদন নবায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আর বিষয়টির ‘নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত’ কোনো বিদেশি তহবিল অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে না তারা। সরকার দাতব্য সংস্থাটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে, এর আগে এমন টুইট করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়নি বলে তখন থেকে দাবি করে আসছে ভারতীয় সরকার, সংস্থাটিও তাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়নি বলে জানিয়েছে। মেসিডোনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মাদার টেরিজা ছিলেন একজন রোমান ক্যাথলিক। তিনি ১৯৫০ সালে কলকাতা ভিত্তিক এই চ্যারিটি সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মানবিক কার্যক্রমের জন্য ১৯৭৯ সালে তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মৃত্যুর ১৯ বছর পর ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস তাকে ‘সেন্ট বা সন্ত’ ঘোষণা করেন। ভারতভিত্তিক দাতব্য ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রমে (এনজিও) বিদেশি অনুদান কমানোর চেষ্টা করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই ধারায় গত বছর গ্রিনপিস এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু