অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন সমুদ্রভ্রমণে বিলাসবহুল জাহাজের যাত্রার মাধ্যমে জানুয়ারী ২০২০ থেকেই যাত্রা শুরু করেছে সূচনা করেছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স (লিঃ)। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ শত পর্যটক নিয়ে চলাচল করছে এই জাহাজটি। কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এক জমকালো আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে এই জাহাজ চলাচলের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। সমুদ্রপথে কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে এই দাবি পূরণে এগিয়ে এসেছেন কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ। জাহাজটি কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়ে একই দিন সন্ধ্যায় ফিরে আসে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর, বুধবার বিকেল সাড়ে তিন টায় সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলে গভীর সমুদ্র অতিক্রম করে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের নাজিরারটেক চ্যানেলে পৌঁছালে ভাটা থাকার কারণে হটাৎ ডুবোচরে আটকে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে জাহাজের ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তনুযায়ী কিছুক্ষণ যাত্রা বিরতি নেয় জাহাজটি। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হলে পূনরায় জাহাজটি কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। জাহাজ ঘাটে পৌঁছাতে গভীর রাত এবং সম্পূর্ণ যাত্রী নামাতে ভোর হয়ে যায়। অতপর এই অনাকাংখিত বিলম্বের কারণে জাহাজ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে। নিরাপদ অবতরণের পর যাত্রীদের বাসযোগে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে, সম্পূর্ন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষয়টিকে তিলকে তাল করার মতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার তথা অপবেক্ষা করছে একটি চক্র বলে মন্তব্য করেন কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স (লিঃ) কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “ ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে জাহাজ আটকা পড়েছিল মর্মে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা একটি অসাধুচক্র। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। ধারণা করা হচ্ছে এটা দুস্কৃতিকারিদের হীন চক্রান্ত। তারা সরাসরি কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিনগামী দেশের এই প্রথম নৌরুট সচল থাকুক তা চায়না। এই রুট বন্ধের জন্য তারা এসব অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।”
জাহাজের ইঞ্জিন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স (লিঃ) কর্তৃপক্ষ জানান, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসকে নিজস্ব ডকইয়ার্ডে একটি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও ১৫ মিটার প্রশস্ত এই নৌযানে মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন- ২টি। আমেরিকার বিখ্যাত কাটার সেকশন ইঞ্জিনের একেকটির ক্ষমতা প্রায় ১৫৫০ বিএইচপি করে। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। নৌযানটি সার্ভিসে যাওয়ার আগে সি ট্রায়ালের অংশ হিসেবে কর্ণফুলী নদী থেকে পতেঙ্গার সমুদ্র মোহনায় ট্রায়াল সম্পন্ন করে জাহাজ পরিচালনা করা হয়। ১৭টি ভিআইপি কেবিনসহ ০৩ ক্যাটাগরির প্রায় ৭৫০ আসনের এই নৌযানটিতে রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস, সি ভিউ ব্যালকনিসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র