অনলাইন ডেস্ক :
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দীর্ঘ চার দশকের অপেক্ষার অবসান হয়েছে উল্ফসের। গত সোমবার হুয়াও মুটিনহোর একমাত্র গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তাদের ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে ব্রুনো লাগের দল। ম্যাচের ৮২ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ৩৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মুটিনহো। এই পরাজয়ের পরও অবশ্য শীর্ষ চারের স্থান থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানটি ধরে রেখেছে ইউনাইটেড। তবে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে রাল্ফ রাংনিকের অপরাজিত থাকার ধারা এর মাধ্যমে শেষ হলো। পুরো ম্যাচেই নিজেদের কোনভাবেই প্রমান করতে পারেনি রেড ডেভিলসরা। যা রাংনিককে দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে। ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেবার পর প্রথম চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট অর্জন করা রাংনিক ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমরা মোটেই ভাল খেলতে পারিনি। ব্যক্তিগত ভাবে তো নয়ই, দলগত ভাবেই আমরা তাদের থেকে পিছিয়ে ছিলাম। একবারের জন্যও উল্ফসকে চাপে ফেলতে পারিনি। প্রথমে কিছুটা চেষ্টা করেছি, কিন্তু ১০-১৫ মিনিট পরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে চলে যায়। এই ম্যাচ প্রমান করেছে আমাদের এখনো অনেক কাজ করা বাকি আছে। বিশেষ করে বলের বিপক্ষে কি করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের আরো চিন্তা করতে হবে।’ সেন্টার-ব্যাক পজিশনে ইনজুরিতে থাকায় অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়েরে, ভিক্টর লিন্ডেলফ ও এরিক বেইলি অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে দুই বছর পর প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মত মূল একাদশে সুযোগ পান ফিল জোনস। কিন্তু সাবেক এই ইংলিশ ডিফেন্ডার ইউনাইটেডের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতই ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। এমন পারফরমেন্সে আগামী মৌসুমে ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ম্যাগুয়েরের অনুপস্থিতিতে এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মত অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। কিন্তু রোনাল্ডোর মধ্যেই উন্নতির কোন ছাপ লক্ষ্য করা যায়নি। বেশ কিছু পতুর্গীজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাকে একেবারেই নিষ্ক্রিয় মনে হয়েছে। উভয় দলের মধ্যে একমাত্র ভিন্ন ছিলেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। আগস্টে মোলিনেয়াক্সের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয়ের ম্যাচটির মতই এই স্প্যানিয়ার্ড আরো একবার ইউনাইটেডকে বেশ কয়েক বার রক্ষা করেছেন। ম্যাচের শুরুতেই রুবেন নেভেসের একটি ভলি দারুন দক্ষতায় রুখে দেন। প্রথমার্ধে উল্ফস আরো কিছু শট করেছে। কিন্তু ডি গিয়া তার কোনটিই সফল হতে দেননি। ১৯ লিগ ম্যাচে এ পর্যন্ত ব্রুনো লাগের দল মাত্র ১৪টি গোল করেছে। ফরোয়ার্ডদের ভুলে আরো একবার স্কোরলাইন সমৃদ্ধ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ম্যাচ শেষে লাগে বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অন্যরকম একটি জয় ছিল। দুর্দান্ত স্টেডিয়াম, যার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা আজ কেমন খেলেছি। প্রথমার্ধ পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট হওয়ায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি। আমরা তিন পয়েন্ট পেয়েছি ঠিকই কিন্তু আরো গোল করা উচিত ছিল।’ নিষেধাজ্ঞার কারণে বার্নলির বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে মাঠের বাইরে থাকা পর্তুগীজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেসকে বদলী বেঞ্চে রেখেছিলেন রাংনিক। ৬০ মিনিটে তাকে মাঠে নামানোর পরও সফল হতে পারেনি স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষের ২৩ মিনিট আগে নেমাঞ্জা মাটিচের ক্রস থেকে ফার্নান্দেস যে সুযোগটি হাতছাড়া করেছেন তার কোন ব্যাখ্যা নেই। পরের মুহূর্তেই ফ্রি-কিক থেকে রোনাল্ডোর গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষের আট মিনিট আগে উল্ফস কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে জোনসের হেড মুটিনহোর পায়ে গিয়ে পড়লে পর্তুগীজ এই মিডফিল্ডার আর কোন ভুল করেননি। এই জয়ে ইউনাইটেডের থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে উল্ফস।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা