অনলাইন ডেস্ক :
অনুশীলনেই ঝড় তুলেছিলেন উইল জ্যাকস। বিশাল ছক্কায় গ্রাউন্ড-২ থেকে মূল মাঠের প্রেসবক্সের গ্লাস ভেঙে ফেলেছিলেন! কিন্তু ঢাকার বিপক্ষে মূল ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েই থাকলেন চট্টগ্রামের এই ব্যাটার। তবে জ্যাকস না পারলেও শামীম ছিলেন ত্রাতার ভূমিকায়। তার ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর মৃত্যুঞ্জয়ের বৃদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৩ রানের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে তারা। সবমিলিয়ে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই ক্রিকেটারের হাত ধরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্লে-অফের আশা বেঁচে থাকলো। টানা তিন ম্যাচ হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় চট্টগ্রামের। প্লে-অফ খেলতে ঢাকার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না। কঠিন পরিস্থিতিতে ঠা-া মাথায় বোলিং করে ম্যাচ জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই ঢাকা শেষ ওভারে নির্ধারিত লক্ষ্য তুলতে পারেনি। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্যাট হাতে ত্রাতার ভূমিকায় থাকা শামীম হোসেন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৪৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। ২১ রানে তিন উইকেট হারানো দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। দু’জন মিলে ৭১ রানের জুটি গড়ে ঢাকাকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ ২৯ বলে ২৪ রান করে আউট হলেও শুভাগত চাপ বাড়তে দেননি। তবে ১১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করা এই ব্যাটার ফিরতেই চাপ বাড়ে ঢাকার। রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন হয় ৯ রানের। মৃত্যুঞ্জয় প্রথম বলে কায়েস আহমেদকে ফিরিয়েই ম্যাচ জমিয়ে দেন। এরপর জাতীয় দলের নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। টানা দুই বল ডট দিয়ে চাপ বাড়িয়ে দেন বাঁহাতি ওপেনার। পরের দুই বলে ওয়াইড-নো মিলিয়ে বাড়তি চার রান খরচ করেন মৃত্যুঞ্জয়। শেষ বলে ঢাকার প্রয়োজন পড়ে আর ৪ রান। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এক রানের বেশি নিতে পারেনি ঢাকা। তাতে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে থেমেছে মাহমুদউল্লাহর দল। ২১ রানে জীবন পাওয়া তামিম ৭৩ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ৫৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। নাঈম ৫ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২১ রানে ২ উইকেট নেওয়া চট্টগ্রামের সেরা বোলার মৃত্যুঞ্জয়। এ ছাড়া শরিফুল দুটি এবং নাসুম ও মেহেদী নিয়েছেন একটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম। ওপেনিংয়ে নামা জাকির হাসান ১ রানে ফিরে যাওয়ার পর আফিফ হোসেন ও উইল জ্যাকস ৪০ রানের জুটি গড়েছেন। অনুশীলনে ঝড় তোলা জ্যাকস বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ৩ চারে ২৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। জ্যাকসের বিদায়ের পর মিরাজও (২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তখন মূলত শামীম হোসেনের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করতে পারে চট্টগ্রাম। শামীম ৩৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন। এ ছাড়া বেনি হাওয়েল ১৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর এখন পর্যন্ত নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মঙ্গলবারও ৯ রান করে আউট হয়েছেন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে মাশরাফি, ফারুকি, আরাফাত, এবাদত, কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা