অনলাইন ডেস্ক :
চার দিন আগে ঘরোয়া লিগে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলা বায়ার্ন মিউনিখ এবার আরও বড় মঞ্চে হারতে বসেছিল। শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা সালসবুর্ক জাগিয়েছিল অসাধারণ এক জয়ের সম্ভাবনা। তবে শেষ সময়ে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে কিংসলে কোমানের গোলে ড্রয়ের স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। সালসবুর্কের রেড বুল অ্যারেনায় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়। প্রথমার্ধে চুকয়ুবুইকে আদামুর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গত শনিবার বুন্ডেসলিগায় বোহোমের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ৩০ মিনিটে চার গোল খেয়ে হারের হতাশায় ডুবেছিল বায়ার্ন। সেই হতাশা এদিনও যেন অনেকটা সময় আঁকড়ে ছিল দলটিকে। সেই সুযোগে তাদের ওপর শুরু থেকেই চাপ তৈরি করে সালসবুর্ক। প্রথম ১০ মিনিটে তারা গোলের উদ্দেশ্যে তিনটি শট নেয়, যদিও তার কোনোটিই বায়ার্ন গোলরক্ষকের কোনোরকম পরীক্ষা নিতে পারেনি। গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের সবকটি জেতা বায়ার্নই অবশ্য লক্ষ্যে প্রথম শট নেয়। দশম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে সের্গে জিনাব্রির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান স্বাগতিক গোলরক্ষক। এরপর আরও কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে তারা, আদায় করে নেয় কয়েকটি কর্নার। ২১তম মিনিটে তেমনই একটি আক্রমণ রুখে ওঠা প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় সালসবুর্ক। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সের মুখে পেয়েই দারুণ বাঁকানো শটে গোলটি করেন আদামু। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি সভেন উলরিখ। আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা সালসবুর্ক তিন মিনিট পর পেতে পারতো আরেক গোল। তবে এবার ব্রেন্ডন অ্যারনসনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন উলরিখ। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে বায়ার্নের রক্ষণে আবারও ভীতি ছড়ান অ্যারনসন। তিন ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে সামনে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার। পুরো ম্যাচে বায়ার্ন বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। ৭০ মিনিট পর্যন্ত তাদের উল্লেখযোগ্য সুযোগ বলতে ছিল প্রথমার্ধে জিনাব্রির ওই একটি শটই। সময় যত ফুরিয়ে আসছিল ততই মরিয়া হয়ে উঠছিল বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে তারা। ৭৩তম মিনিটে বাঁ দিকে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কাছের পোস্টে শট নেন কোমান। কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ফরাসি ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকান ফিলিপ কুন। অবশেষে ৯০তম মিনিটে মেলে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা। ডান দিক থেকে বাঁজামাঁ পাভার্দ রক্ষণের ওপর দিয়ে ক্রস দেন। ডি-বক্সের মুখে হেডে বল আরও পেছনে বাড়ান টমাস মুলার। আর ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে থেকে প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কোমান। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রিয়ার ক্লাবটির মুখোমুখি হলো বায়ার্ন। গত আসরে গ্রুপ পর্বের দুই লেগে অনায়াসেই জিতেছিল তারা; সালসবুর্কের মাঠে ৬-২ গোলের পর ঘরের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল বায়ার্ন। আগামী ৮ মার্চ বায়ার্নের মাঠে ফিরতি লেগে আবারও মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা