অনলাইন ডেস্ক :
একে একে বিপিএলের আটটি আসর শেষ হয়ে গেল। প্রতি আসরেই দু-একজন করে প্রতিভা পাওয়া যায়। কিন্তু কেউই টিকে থাকতে পারেন না। দেশীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক নয়। তাই বরাবরই প্রশ্ন ওঠে, এই বিপিএল আয়োজন করে লাভটা কী? শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ১ রানে ফাইনাল হারের পর ফরচুন বরিশাল কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন দেশীয় তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সুজন বলেন, ‘আমি সত্যি বলতে, অনেক বিরক্ত…হতাশ। আমি তেমন উন্নতি তো দেখছি না ছেলেদের। আমি জানি ওরা মানসম্পন্ন খেলোয়াড়, কিন্তু মাঠে সেটা প্রমাণ করতে না পারলে আর কী প্রমাণ করল! কোচ বাইরে থেকে হাজারো কথা বলেন, আপনাকেও তো বুঝতে হবে পরিস্থিতিটা কী। কোন বোলারকে মারতে হবে, সেটা বুঝতে হবে। আমাদের ওই সময় হিসাব ছিল যে মঈন আলী এক ওভার বল করেনি, শহিদুলকে এক ওভার করতেই হবে, মুস্তাফিজ আর নারাইনের একটি করে ওভার বাকি ছিল। ‘ সুজন আরো বলেন, ‘মঈন আলী না করাতে শহিদুল দুই ওভার করেছে। আমার কথা ছিল যে যেহেতু মোস্তাফিজ আর নারাইন উইকেট নেওয়ার মতো বোলার, ওদের ওভারগুলোতে ৬ করে বা ৭ করে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাকি দুই ওভারে ১২ বলে ১৫ রানের মতো দরকার হতো। এখন এই হিসাব তো আমি বলে দেওয়ার মতো কিছু নয়! আমি বলে এসেছি ঠিকই, কিন্তু এই পর্যায়ে এসে তো এটা খেলোয়াড়কেই বোঝা উচিত। ‘ দেশীয় ক্রিকেটারদের গেম সেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুজন বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের এটাই শিখতে হবে যে কোন বোলারকে আপনি মারবেন, কাকে মারবেন না। আমরা সব সময় বলি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের গেম সেন্সের কথা। এই ম্যাচ দেখলেই বোঝা যাবে আমাদের গেম সেন্সের কতটা অভাব আছে। ওরা অনেক খেলেছে, অনেকগুলো বিপিএল হলো, ওরা শিখছে, কিন্তু শেখাটার গতি বাড়াতে হবে। বিদেশি ক্রিকেটাররা কী করল, গেইল কী করল, ব্রাভো কী করল, এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটাররা কী করল। ম্যাচ উইনার কজন বের হলো। ‘
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা