November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, March 2nd, 2022, 7:51 pm

ভিক্ষা করে জমেছে লক্ষাধিক টাকা!

অনলাইন ডেস্ক :

সংসার চালাতে না পেরে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেই ভিক্ষা। প্রতিদিন ভিক্ষা করে যে টাকা উঠত তা দিয়ে কোনোরকম সারা দিনের খাওয়া চলে যেত। বাকি যে টাকা থাকত সেটা জমিয়ে রাখত সেই ভিক্ষুক। কিন্তু আস্তে আস্তে জমানো টাকার পরিমাণ এত হয়ে যাবে সেটা কখনো কল্পনা করেনি সেই ভিক্ষুক। জমানো টাকার পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা। গত মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সারা দিন বসে বসে প্রতিবেশীরা টাকা গুনছেন। ভিক্ষা করে যে কেউ এত টাকা জমাতে পারেন, তা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি। ১০-২০ টাকার নোটের সঙ্গে রয়েছে অজস্র খুচরা পয়সা। আধাবেলা খেয়ে ভিক্ষা করে যে এত টাকা জমিয়েছেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি তার পরিবারটি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। সেখানকার ১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কণিকা মহন্ত ও তার মা শৈলবালা মহন্ত। গত কয়েক দিন আগে কণিকার মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর পাঁচ দিন পর প্রতিবেশীরা তাদের ঘরে ঢুকে ওই ৩টি ট্রাঙ্ক পড়ে থাকতে দেখেন। ট্রাঙ্ক খুলতেই চোখ কপালে ওঠে প্রতিবেশীদের। সেখান থেকে উদ্ধার হয় লাখখানেকের বেশি টাকা। সেই টাকা গুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জনিয়েছেন, এলাকায় কণিকারা ভিক্ষা করে দিন কাটাতেন। তাদের সঞ্চয়ের সেই টাকা উদ্ধার করে দিনভর গুনতে বসেন এলাকার প্রতিবেশীরা। যাতে ওই পরিবারের সারা জীবনের সঞ্চয় বেহাত না হয়ে যায় কিংবা অন্য কেউ আত্মসাৎ করতে না পারেন। আর এই টাকা উদ্ধার করে ব্যাংকে রাখা হবে। যেন ভিক্ষুকের পরিবার আগামীতে স্বাচ্ছন্দ্য দিনযাপন পারেন। এক প্রতিবেশী জানান, কণিকা মহন্তের সঙ্গে তার মা শৈলবালা মহন্ত ও বোন মণিকা মহন্ত থাকতেন। মণিকা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের মায়ের বয়স আশির কাছাকাছি। শৈলবালা আগে ভিক্ষা করতেন। পরে তার মেয়ে কণিকাও ভিক্ষা শুরু করেন। এতগুলো টাকা তাদের ভরণপোষণের কাজে ব্যবহার করা হবে। গচ্ছিত টাকার পরিমাণ লক্ষাধিক হতে পারে বলে অনুমান করেছেন এলাকাবাসী। দিনভর ভিক্ষা করে সামান্য খরচ করে বেশির ভাগটাই জমিয়ে রাখতেন কণিকারা। ভবিষ্যতের জন্য বেশির ভাগ সঞ্চয় জমিয়ে রাখলেও এভাবেই কেটে গেছে জীবনের বহু বসন্ত। স্থানীয় এক বাসিন্দা জনিয়েছেন, গচ্ছিত অর্থ বৃদ্ধা মায়ের নামে ব্যাংকে রাখা থাকবে। বাকি অর্থ কণিকা মহন্তর পারলৌকিক কাজে লাগানো হবে।