November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, March 4th, 2022, 7:35 pm

দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ জিততে চান মুমিনুল

অনলাইন ডেস্ক :

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই দারুণ একটা বছর শুরু করেছে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের কঠিন কন্ডিশনে এমন জয়ে মুমিনুলদের নিয়ে প্রত্যাশা তাই বেড়েছে। সামনে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, প্রত্যাশার চাপ সামলে প্রোটিয়া সফরের চ্যালেঞ্জ নিতে তারা প্রস্তুত। আগামী ১১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। শুরুতে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা থাকলেও টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা বসে থাকবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেই টেস্ট দল চলে যাবে কেপটাউন। সেখানে গ্যারি কারস্টেনের ক্রিকেট একাডেমিতে মুমিনুলরা অনুশীলনে ঘাম ঝরাবেন। দুই দলের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ৩১ মার্চ। ১২ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে মুমিনুলরা দুই সপ্তাহের জন্য অনুশীলন করবেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ কারস্টেনের অধীনে। সেখানে আরও কয়েকজন কোচিং উপদেষ্টাকে নিয়ে তিনি অনুশীলন ক্যাম্প পরিচালনা করবেন। ডারবানে ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এরপর ৮ এপ্রিল থেকে পোর্ট এলিজাবেথের কেবেরায় শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মুমিনুল মনে করেন, নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের আত্মবিশ্বাস দক্ষিণ আফ্রিকাতেও কাজে লাগবে। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কারণ একটা বড় দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ম্যাচ জেতা বড় ব্যাপার। তবে আমাদের অতীত নিয়েও বেশি ভাবনার প্রয়োজন নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে ভাবতে হবে। যেহেতু আমাদের নিয়ে মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে, তাই আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কেমন করি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দলগুলো আমাদের আগে যেভাবে দেখতো, এখন নিশ্চয়ই সেভাবে দেখবে না। দলগুলো এখন আমাদের আরও গুরুত্ব দেবে। সেদিক থেকেও চ্যালেঞ্জ থাকবে।’ জাতীয় দলের হয়ে একটি মাত্র ফরম্যাট খেলেন মুমিনুল। ফলে বেশিরভাগ সময়ই অলস বসে থাকতে হয় তাকে। বাংলাদেশ দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও মুমিনুল এই মুহূর্তে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে ঘাম ঝরাচ্ছেন। সর্বশেষ ৮ ইনিংসে মুমিনুলের হাফসেঞ্চুরি একটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন টেস্ট অধিনায়ক। এক সপ্তাহ ধরে বগুড়ার ক্যাম্পে থাকা মুমিনুলের প্রত্যাশা, ‘আমি এখানে ক্যাম্প করেছি, তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করবো, এই নিশ্চয়তা দিতে পারবো না। আমি প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখতে চাই। প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে ভালো করতে পারবো। বোর্ড আমাদের যে সুযোগটা করে দিয়েছে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’ বাংলা টাইগার্সের ক্যাম্প নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘বগুড়ার উইকেট সবসময় ভালো হয়। যেমন চেয়েছিলাম তেমন হয়তো হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে এখানকার কন্ডিশনের পার্থক্য অনেক। তবে এখানকার কন্ডিশনও খুব ভালো ছিল। ব্যাটসম্যান-বোলার সবার জন্যই। যারা বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতে খেলবে, তাদের জন্য এটা খুব ভালো একটা ক্যাম্প হয়েছে বলে আমার মনে হয়।’