অনলাইন ডেস্ক :
গত সোমবার প্রিমিয়ার লিগের একমাত্র ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে গোলশুন্য ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মৌসুমের এই সময়ে এসে এভাবে পয়েন্ট হারানোয় বিচলিত নয় স্বীকার করেছেন সিটি বস পেপ গার্দিওলা। যদিও তিনি ভালভাবেই বুঝতে পারছেন এই মুহূর্তে এই ধরনের ড্র শিরোপা জয়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। লন্ডনের সেলহার্স্ট পার্কে কাল গার্দিওলার দল স্বাগতিক প্যালেসের পোস্টে ১৮টি শট নিয়ে, ৭৪ শতাংশ বলের পজিশন সিটির দখলেই ছিল। কিন্তু গোল মিসের মহরায় শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়া হয়নি সিটিজেনদের। বার্নান্ডো সিলভা ও অমারিক লাপোর্তেকেই এই গোল মিসের জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী করা যায়। যদিও সামনে থেকে দলকে বারবার রক্ষা করেছেন প্যালেস গোলরক্ষক ভিসেন্টে গুয়াইটা। শনিবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল ব্রাইটনকে পরাজিত করায় জার্গেন ক্লপের দলের থেকে টেবিলের শীর্ষে থাকা সিটি এখন আর মাত্র চার পয়েন্ট দুরে রয়েছে। বুধবার চতুর্থ স্থানে থাকা আর্সেনালের বিপক্ষে জিততে পারলে লিভারপুল সিটির থেকে পয়েন্টের ব্যবধানে এক’এ নামিয়ে আনবে। প্যালেসের সাথে হতাশাজনক এই ড্রয়ের পরেও গার্দিওলা তার দলের পারফরেমেন্স সন্তোস প্রকাশ করেছেন। একইসাথে তিনি বলেছেন শিরোপা জয়ে তাদের অবস্থান আগের মতই আছে। এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘আমরা আজ ভাল একটি ম্যাচ খেলেছি। বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করলেও তা কাজে লাগাতে পারিনি। মাঝে মাঝে এমনটা হতে পারে। যদিও আমি সবসময়ই জয়ের পক্ষে। কিন্তু কঠিন একটি স্টেডিয়ামে এই ধরনের পারফরমেন্সও খুব একটা খারাপ কিছু নয়। এখনো বেশ কিছু ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের আরো জিততে হবে। যেভাবে আমরা খেলছি আমি বিশ্বাস করি আমরা সঠিক পথেই আছি।’ শিরোপা জয়ের পথে লিভারপুলের দুর্দান্ত ফর্ম শঙ্কা তৈরী করছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে গার্দিওলা বলেছেন, ভাগ্য ফুটবলে কখনো চিরস্থায়ী নয়। আমাদের অবশ্যই প্রতিটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে গোল করতে হবে। আজ আমরা যা করতে পারিনি। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্পোর্টিং লিসবনের সাথে গোলশুন্য ড্র করার ম্যাচটি থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন করে কাল মূল দল সাজিয়েছিলেন গার্দিওলা। একাদশে ফিরেছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা ও রিয়াদ মাহারেজ। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে যে দলটি আধিপত্য দেখিয়েছে হুবুহু সেই দল নিয়েই কাল ম্যাচ শুরু করেছিল সিটিজেনরা। অক্টোবরে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই প্যালেসের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল সিটি। যে কারণে কালকের ম্যাচটিকে অঘোষিত ফাইনাল হিসেবে বিবেচনা করার আহবান জানিয়েছিলেন গার্দিওলা। কোচের শঙ্কা ভুল হয়নি। যদিও শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে সফরকারীরা। ডানদিক থেকে মাহারেজ কাট করে ডি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করে কোনাকুনি শট নিলেও তা পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়। ডি ব্রুইনার পাস থেকে সিলভার অবশ্যই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তার শট সরাসরি প্যালেসের গোলরক্ষকের হাতে ধরা পড়ে। ২৫ গজ দূর থেকে শক্তিশালী শটেও জন স্টোনস সিটিকে এগিয়ে নিতে পারেননি। লো ড্রাইভে গুয়াইটার পরীক্ষা নিয়েছে মাহারেজ। এরপর একে একে ব্যর্থ হন ডি ব্রুইনা ও লাপোর্তে। হুয়াও ক্যান্সেলোর শট পোস্টে লেগে ফেরত আসলে খুব কাছে থেকেও ফাকায় দাঁড়ানো লাপোর্তে গোল করতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আবারো মাহরেজকে হতাশ করেন গুয়াইটা। বিরতির পর ডি ব্রুইনা পোস্টে বল লাগালে আবারো হতাশ হতে হয় সিটিকে। প্রায় পুরো ম্যাচেই প্যালেসের অর্ধেই আধিপত্য দেখিয়েছে সিটি। জ্যাক গ্রীলিশের ক্রস থেকে সিলভা ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন। পুরো ৯০ মিনিট কোন খেলোয়াড় বদল করেননি গার্দিওলা। তার এই সাহসী এই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হলো কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। যদিও গার্দিওলা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘পরিবর্তনের বিষয়টি অনেকবারই আমার মাথায় এসেছে। কিন্তু মাঠে থাকা খেলোয়াড়রা ভালই খেলছিল।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা