ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মো. গোলাম মোস্তফা (৬০), তার সহযোগী মো. জালাল বাশার (৫৪), মো. মুসলিম উদ্দিন, মো. মিনারুল ইসলাম মিন্নি (২২), ও মো. তারেক মৃধা (২১)।
র্যাব জানায়, সম্প্রতি কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে বিভিন্ন দ্রব্য বেচাকেনার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন প্রকার জাল সনদ তৈরি করে আসছেন। বর্ণিত বিজ্ঞাপণটি র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের নজরে আসলে র্যাব উক্ত চক্রের সঙ্গে জড়িতদের আটকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার র্যাব-৩ রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো, শাহজাহানপুর ও কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ জনকে আটক করে র্যাব।
এছাড়া অভিযানে দুটি কম্পিউটার, ২ হাজার ৪৬০টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের জাল প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ, ২৬টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, কার্ড প্রিন্টার, ১৮টি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৮০টি সাদা রঙের প্লাস্টিকের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ব্লাঙ্ক কার্ড, ৫০টি স্বচ্ছ কার্ড হোল্ডার, দুই রিল সিকিউরিটি লেমিনেটিং পেপার, চারটি সফটওয়্যারের সিডি, চারটি পেনড্রাইভ, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছে, তারা সাত জনের একটি চক্র। গত আট বছর যাবৎ ভুয়া এনআইডি কার্ড, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সার্টিফিকেট ও অন্যান্য জাল নথিপত্র তৈরি করে আসছে।
আটক বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম