জেলা প্রতিনিধি :
ইমোতে পরিচয়ের পর সৌদি প্রবাসীর সঙ্গে ৭ বছর ধরে প্রেম চলছিল মুন্সিগঞ্জের এক তরুণীর। বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন ফাতেমা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাতেমা আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার কাঁঠালতলা এলাকার আহম্মেদ হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ফাতেমার সঙ্গে গত সাত বছর ধরে সৌদি প্রবাসী মো. ফারহান সবুজ নামের এক ছেলের সঙ্গে ইমোতে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর মধ্যে কখনো তাদের দেখা হয়নি। ফাতেমাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে চাইলে সৌদি প্রবাসী ফারহান নানানভাবে ব্ল্যাকমেইল করে।
গত সপ্তাহে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়েও ঠিক হয়। কিন্তু গত তিনদিন আগে ফাতেমাকে ফারহান বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করে বকাঝকা দেয়। পরে ফাতেমা সহ্য করতে না পেরে ফাঁস দেয়।
নিহতের মা জানান, গত সপ্তাহে পারিবারিকভাবেই ফারহানের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু গত তিনদিন ধরে ফাতেমা খাবার খায় না। জিজ্ঞাসা করলে উত্তরও দেয় না। বৃহস্পতিবার ১টার দিকে রান্না বসিয়ে পুকুরে পানি আনতে গেলে এই সুযোগে ফাতেমা ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ফাঁসি দেয়। পরে ছোট ছেলে দরজা ভেঙে ফাতেমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিমার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক