অনলাইন ডেস্ক :
ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময় আবাহনী-মোহামেডানের দ্বৈরথ নিয়ে বাড়তি আকর্ষণ থাকতো। থাকতো উন্মাদনা। কিন্তু সময়ের খরাস্রোতে সেই উন্মাদনায় পড়েছে ভাটার টান। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দীর লড়াইয়ে সমর্থকদের আগের সেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। অথচ একসময় সমর্থকদের হাতাহাতিতে গ্যালারি রূপ নিতো যুদ্ধক্ষেত্রে! মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) নিরুত্তাপ এই লড়াইয়ে জিতেছে আবাহনী। মিরপুরে আগে ব্যাটিং করা মোহামেডান ২৫৬ রানের লক্ষ্য দেয় আবাহনীকে। মাঝারি মানের এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ বল হাতে রেখে তারা ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে। তবে শুরুতে ওপেনার নাঈম শেখকে হারিয়ে আবাহনীর বিপদে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। এরপর দলীয় ৩৯ রানে ফিরে যান অপর ওপেনার মুনীম শাহরিয়ারও (২৫)। তৃতীয় উইকেটে হনুমা বিহারী ও জাকির আলী অনিক মিলে ৯৮ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন। বিহারী ৮০ বলে ৭ চারে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। দলের স্কোরকে ১৭১ রানে নিয়ে গিয়ে আউট হন জাকির আলীও। ফেরার আগে ৮৯ বলে ৩ চারে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন। তারপর আফিফ-মোসাদ্দেক মিলে অবিচ্ছিন্ন ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। আফিফ ৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে মোসাদ্দেক ৩৭ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ভালো করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান আফিফ। মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে শুভাগত, হাফিজ ও মুশফিক হাসান একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল আবাহনী। ৫৯ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মোহাম্মদ হাফিজ ও রুবেল মিয়ার ১১৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু মিডল অর্ডার জ¦লে উঠতে না পারায় ২৫৫ রানে থামতে হয় ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটিকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন হাফিজ। এ ছাড়া রুবেল মিয়া ৫১ এবং মাহমুদউল্লাহ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তানজিম হাসান সাকিব আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। এ ছাড়া আফিফ হোসেন নেন দুটি উইকেট।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা