অনলাইন ডেস্ক :
সাদিও মানের জোড়া গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত করে এফএ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। এই জয়ের মাধ্যমে ঐতিহাসিক কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্ন এখনো টিকিয়ে রেখেছে অল রেডসরা। এক মৌসুমে চারটি শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে জার্গেন ক্লপের দল। ওয়েম্বলির সেমিফাইনালে শনিবার সিটিকে হারিয়ে সেই স্বপ্ন অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছে লিভারপুল। প্রথমার্ধে লিভারপুলের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল সিটিজেনরা। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল পরিশোধ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইব্রাহিমা কোনাটে প্রথমে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। এরপর সিটি গোলরক্ষক জ্যাক স্টিফানের ব্যর্থতায় ব্যবধান দ্বিগুন করেন মানে। সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড মানে বিরতির ঠিক আগে আরো এক গোল করলে সিটির কাছে ম্যাচে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও জ্যাক গ্রীলিশ ও বার্নান্ডো সিলভার দুই গোলে কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছির সিটিজেনরা। ২০১২ সালে পর এই প্রথমবারের মত এফএ কাপের ফাইনালে খেলবে লিভারপুল। আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মধ্যকার আরেক সেমিফাইনালে বিজয়ী দল। এনিয়ে ১৫ বারের মত এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। ২০০৬ সালের পর আর শিরোপা জেতা হয়নি। প্রিমিয়ার রিগে টেবিলের শীর্ষে থাকা সিটির তুলনায় মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্লপের দল। ইতোমধ্যেই লিগ কাপে শিরোপা ঘরে তুলেছে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলে লিভারপুল। ইউরোপিয়ান আসরের সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ দল ভিয়ারিয়াল। বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় করে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ভিয়ারিয়াল। যদিও ক্লপ বরাবারই বলে আসছেন কোয়াড্রাপল জয় অনেকটাই অসম্ভব। কিন্তু কালকের জয়ে দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। অন্যদিকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে অনেকটাই ক্লান্ত সিটির খেলোয়াড়দের মধ্যে লিভারপুলকে প্রতিরোধ করার সাধ্য ছিলনা। গত ১১ ম্যাচে এটি তাদের প্রথম পরাজয়। এবারের মৌসুমে লিগে এই দুই জায়ান্টের দুটি ম্যাচই ২-২ গোলে অমিমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে। বুধবার এ্যাথলেটিকো মাদ্রিকতে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিভারপুলের আধিপত্যের কাছে পেরে উঠেনি সিটিজেনরা। বিশেষ করে বেশ কিছু বাজে ভুলের কারণে সিটি পিছিয়ে পড়ে। এই ধরনের বড় ম্যাচে কখনই এসব ভুল কাম্য নয়। পেপ গার্দিওলা দাবী করেছেন তার দল অনেকটাই পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। তার হাতে খেলোয়াড় বদলীরও কোন উপায় ছিলনা। এডারসন, রুবেন ডিয়াস ও রড্রির সাথে কেভিন ডি ব্রুইনা বদলী বেঞ্চে ছিলেন, ইনজুরির কারণে দলের বাইরে ছিলেন কাইল ওয়াকার। বিপরীতে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বেনফিকার বিপক্ষে বিশ্রামে রাখার পর পুনরায় মূল দলে ক্লপ ডেকেছিলেন মোহাম্মদ সালাহ, মানে, ভার্জিল ফন ডিক ও ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডকে। সিটির জন্য ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ম্যাচটাই ছিল বেশ অস্বস্তির। ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। বেনফিকার বিপক্ষে উভয় কোয়ার্টার ফাইনালের উভয় লেগের ম্যাচেই হেডের সাহায্যে গোল করা কোনাটে এন্ড্রু রবার্টসনের কর্ণার থেকে আবারো ঐ হেডের গোলেই লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। ১৭ মিনিটে ন্যাথান এ্যাকের ব্যাক পাস থেকে স্টিফেন বলটি ক্লিয়ার করতে দ্বিধায় পড়েন। এই সুযোগে মানে গোল করলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। ৪৫ মিনিটে থিয়াগো আলকানটারার পাসে মানের ভলি ধরার সাধ্য ছিলনা স্টিফেনেরে। ৪৭ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের দারুন এক পাস থেকে ১০ গজ দূর থেকে গ্রীলিশ সিটির হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। জেসুসের দুটি জোড়ালো শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন এ্যালিসন। রিয়াদ মাহারেজের ক্রস থেকে স্টপেজ টাইমে সিলভা আরো এক গোল করলেও তা শেষ পর্যন্ত সিটির পরাজয় এড়াতে পারেনি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা