November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 18th, 2022, 8:51 pm

জানুয়ারিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা: সানেম

ফাইল ছবি

করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাস ছিল ব্যস্ততম মাস। জানুয়ারিতে ২৭ কার্যদিবসে শ্রমিকরা কারখানায় গড়ে ২৯৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

‘গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ’ প্রকল্পের অধীনে এপ্রিল ২০২০ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন নির্বাচিত গার্মেন্টস কর্মীদের ওপর এ জরিপ করা হয়।

জরিপে অংশ নেয়া শ্রমিকরা বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান শিল্প এলাকা (চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার) এর বিভিন্ন কারখানায় নিযুক্ত।

জরিপের উত্তরদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ নারী, যা আরএমজি সেক্টরের শ্রমশক্তির বিন্যাসকে প্রতিনিধিত্ব করে। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদে, শ্রমিকরা জানুয়ারিতে গড়ে ২৬৮ ঘণ্টা কাজ করেছেন বলে জরিপে বলা হয়েছে।

নারী কর্মীরা জানুয়ারিতে গড়ে ২৬৭ ঘণ্টা কাজ করেছেন, যেখানে পুরুষ শ্রমিকরা এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদ দিয়ে গড়ে ২৭০ ঘণ্টা কাজ করেছেন।

ফেব্রুয়ারির ২৪ কার্যদিবসে শ্রমিকরা গড়ে ২৫৯ ঘণ্টা কারখানায় ব্যয় করেছেন। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদ দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রমিকরা গড়ে ২৩৫ ঘণ্টা কাজ করেছে।

তাদের মধ্যে নারী শ্রমিকরা গড়ে ২৩৪ ঘণ্টা এবং পুরুষ শ্রমিকরা গড়ে ২৩৫ ঘণ্টা কাজ করেছেন।

জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি উভয় মাসে, জরিপকৃত শ্রমিকরা আইনত অনুমোদিত ১০ ঘণ্টার (আট ঘণ্টা নিয়মিত এবং দুই ঘণ্টা ওভারটাইম) অধিক কাজ করেছেন।

ডিসেম্বরে কাজের জন্য নারী শ্রমিকরা জানুয়ারিতে গড়ে ১২ হাজার টাকা এবং পুরুষ শ্রমিকরা গড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেয়েছেন।

জানুয়ারিতে কাজের জন্য নারী শ্রমিকরা ফেব্রুয়ারিতে গড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন পেয়েছেন যেখানে পুরুষ শ্রমিকরা পেয়েছেন ১৩ হাজার টাকা।

ফেব্রুয়ারিতে, ৫৪ শতাংশ কর্মী মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ, নগদ, রকেট, ইত্যাদি) মাধ্যমে এবং ৪৬ শতাংশ নগদ অর্থে বেতন পেয়েছেন।

প্রায় ২০ শতাংশ গার্মেন্টস কর্মী জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্য অসুস্থ ছিলেন। জানুয়ারিতে এই অসুস্থতার হার ছিল ২৬ শতাংশ।

—ইউএনবি