অনলাইন ডেস্ক :
বছরখানেক আগেও বাংলাদেশ টেস্ট দলের সেরা পেসার ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। নিয়মিত খেললে এখন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেস বোলারও তিনিই থাকতেন। পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে বাকিদের থেকে তিনিই এগিয়ে। ১৩ ম্যাচের ১৮ ইনিংসে ৩০ উইকেট শিকার সে কথাই বলে। তবু, গত প্রায় এক বছর ধরে দলের সঙ্গে থাকলেও টেস্ট একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। এবার দল থেকেই বাদ পড়লেন রাহী। অন্যদিকে, তার বদলি একাদশে সুযোগ পাওয়া এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে শুরু করেছেন। এর বাইরে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম তো এখন প্রায় অটোমেটিক চয়েজ। সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয়নি আবু জায়েদ রাহীকে। কেন রাহীকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যেহেতু হোম কন্ডিশনে খেলা। ওকে (রাহী) সুইংয়ের দিক থেকে চিন্তা করি। রাজা (রেজাউর রহমান রাজা) এইচপি ট্রেনিংয়ে ভালো করেছে। ঘরোয়াতেও ভালো গতিতে বল করেছে। তাই পেসে ভ্যারিয়েশনের জন্য একটু পরিবর্তন আনা।’ গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রথমবারের মতো দলে ডাক পেয়েছিলেন সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এরপর কোনো ম্যাচ না খেলিয়েই তাকে বাদ দেওয়া হয়। এবার আবারও তাকে ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কিছু ইঞ্জুরি কনসার্ন আছে। শরিফুলও পুরোপুরি ফিট না। তবে ফিজিওর যে রিপোর্ট আছে, আশা করছি প্রথম টেস্ট থেকেই ওকে পাওয়া যাবে। খালেদ ও এবাদত তো আছেই। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, তিনটা সিম বোলার তো লাগবেই। সেই ভাবনা থেকেই রাজাকে নেওয়া।’ রাহীকে যে একেবারে বাদ দেওয়া হয়েছে তা মানতে নারাজ তিনি। মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘রাহী থাকছে না এটা বলবো না, গত সিরিজ পর্যন্ত ও কিন্তু দলে ছিল। নিয়মিত হতে পারছে না। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। ঘরের মাটিতে অন্যরকম পরিকল্পনা নিয়ে খেলা হয়। ওই চিন্তা থেকেই রাহীকে বাইরে রাখা। তারপরও প্র্যাকটিস ম্যাচে আমরা ওকে রাখছি। যেহেতু অনেক দিন সে খেলায় নেই, দেখা যাক কেমন বল করে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা