সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবকসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের পুত্র লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ, নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাহমিলুর রহমান জানান, মূল হামলাকারী দুই স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং টোল কাউন্টারে নিযুক্ত থাকা দুই স্বেচ্ছাসেবককে সাথে সাথে বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।’
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম