জেলা প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে চিকিৎসকরা বিচারের দাবিতে কর্মবিরতিতে গেছেন বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুল হক মনি মুক্তাগাছা উপজেলা য্বুলীগের সভাপতি ও মুক্তাগাছা পৌরসভাপর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের মেয়ের জামাতা। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে মাহবুবুল হক মনিকে আসামি করে ডা. এ এইচ এম সালেকিন বাদী হয়ে মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার নথির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, মারধরের শিকার ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন ইমারজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। এমতাবস্থায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের হটলাইনে ফোন দিয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তার বৃদ্ধ মায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য বাসায় গিয়ে নমুনা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চান। তখন ডা. সালেকিন জানান, যে বাসায় গিয়ে নমুনা নেয়া আপাতত বন্ধ ও তাকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে নমুনা দেয়ার পরামর্শ দেন। এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ২টার দিকে মাহবুবুল হক মনি ও ৮-১০ জন মিলে হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসারের রুমে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ও বিভিন্ন হুমকি দেন। এরপর সবাই মিলে চিকিৎসককে মারধর করেন। এ সময় হাসপাতালের স্টাফরা তাদের বিরত করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারধর করেন। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এদিকে চিকিৎসকরা যেন কর্মবিরতি তুলে নেয় সেজন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল তুলে ধরা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: পরিবেশ মন্ত্রণালয়
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি আহত