অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইউক্রেনে হামলা শুরুর অল্প কিছুদিনের মধ্যে ককেশাস অঞ্চল থেকে আসা একটি দল তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ইউক্রেনের গোয়েন্টা প্রধান কিরিলো বুদানভ এ দাবি করেছেন। গত সোমবার মেইল অনলাইন তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা জানায়। মূলত আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া এবং দক্ষিণ রাশিয়ার কিছু অংশকে ককেশাস অঞ্চল হিসেবে গণ্য করায়। কিরিলো বুদানভ বলেন, প্রায় দু’মাস আগে ককেশাস থেকে আসা একটি দল পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। যদিও এটা ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ চেষ্টা ছিল, কিন্তু এমনটা যে সত্যিই ঘটেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বুদনভের দাবি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটি ছিল পুতিনকে হত্যার প্রথম চেষ্টা। বুদানভ অবশ্য এ পুতিনকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা জানাননি। তাছাড়া আগে থেকেই ককেশাস অঞ্চলে পুতিনের বেশ কয়েকজন শত্রু রয়েছে। মূলত তাদের সঙ্গে পুতিনের আগে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ থাকায় শত্রুতা চলছিল। ২০০৪ সালে জর্জিয়ায় হামলার নির্দেশ দেন পুতিন। যা ওই অঞ্চলে অচল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলটিতে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে পুতিনের বাহিনীকে। এছাড়া ২০২০ সালে নাগোরনো-কারাবাখ এলাকার দখল নিয়ে যুদ্ধ বাঁধে প্রতিবেশী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজেরবাইযানের। সেই যুদ্ধে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অরো অস্থির করে তোলে। সংবাদ মাধ্যম মেইল জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পুতিন গুপ্ত হত্যার ভয়ে ভীত বলে ধারণা করা হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালদিমির জেলেনস্কিকে অপসারণের জন্য ইউক্রেনে হিট স্কোয়াড পাঠিয়েছিল রাশিয়া। গত মাসে রাশিয়ার ডানপন্থী এক রাজনীতিবিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পুতিন তার ‘পারমাণবিক’ ব্রিফকেস নিয়ে যান। এই ব্রিফকেসের মাধ্যমে দূর থেকে যে কোনো ভূখন্ডে পরমাণু হামলা চালানো সম্ভব। ২০১৭ সালে চলচ্চিত্রকার অলিভার স্টোনকে পুতিন বলেছিলেন, এ পর্যন্ত অন্তত ৫ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে নজরদারি করেন বিধায় প্রতিবারই তিনি বেঁচে গেছেন।
সূত্র: মেইল অনলাইন
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু