কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মাথায় আগেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ের কাবিননামায় সই করানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. ফারুক (৪৩) উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বাড়িতে প্রবেশ করে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তরুণীকে কাবিননামায় সই করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে মূল ব্যক্তি তিতাসকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে বুধবার মামলা দায়ের করেছেন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি গোলাম দস্তগীর তিতাস (৪৫) পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি এবং তার বাড়ি বরিশাল জেলায়। আর ওই তরুণী এ বছর স্থানীয় একটি কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন।
বুধবার ওই তরুণীর মা বলেন, স্থানীয় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতাসসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে পাকা ও দেওয়ালে ঘেরা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা, রশি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে তোর মেয়েকে তিতাসের সাথে বিয়ে দিতে হবে। না হলে মেরে ফেলে হবে। বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
ওই কলেজছাত্রী জানান, প্রায় ৬ বছর আগে থেকেই তিতাশ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই দিন রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। যে কারণে বাধ্য হয়ে ভয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর নেয়ার পর তারা চলে যায়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ