জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল :
চলছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য। এ মাসে বাজারে মৌসুমী ফলে সয়লাব হয়ে গেছে। মৌসুমী ফলের পাশাপাশি নতুন করে দেখা মিলছে তালের শাঁস। জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে তালের শাঁস বিক্রি। খাইতে সুস্বাদু ও বিষাক্ত ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় তাল শাঁসের কদর দিনদিন বেড়েই চলছে। গরমে পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে এ কচি তালের শাঁস। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তালের শাঁস খেতে বেশি পছন্দ করে।
সখীপুর পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে, গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে,পাড়া-মহল্লায় তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যায়। একটি তালের ভেতরে তিনটি কুশ থাকে। আর প্রতিটি কুশ বিক্রি হচ্ছে ৫টাকায়।
পৌর শহরের শালগ্রামপুর রোডে তালের শাঁস বিক্রেতা মানিক মিয়া জানান, তিনি পৌরসভা ও গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি গাছের তাল কিনে আনেন। সারাদিনে তিনি প্রায় ৩/৪শ তাল বিক্রি করেন। এতে দিনে তার ১হাজার থেকে ১২শ টাকা আয় হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারদিনে সামান্য কয়টা তাল বিক্রি করে যে কয় টাকা লাভ পাই তা দিয়েই আমার সংসার চলে। পৌরসভার হাট ইজারাদারদের দিতে হয় ৩০০টাকা। ময়লা ফেলতে দিতে হয় ১৫০/২০০টাকা। পরিশ্রমের তুলনায় লাভ হয় অল্প।
একই ধরনের অভিযোগ করেন তালের শাঁস বিক্রেতা রুবেল মিয়াও। তিনি বলেন, পৌরসভার ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা দিতে হচ্ছে।
চিকিৎসক.নাজমুল হাসান মাসুদ খান বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ তালের শাঁস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি এবং মুখের রুচি বাড়ায়।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি