চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট যুক্ত হচ্ছে। বিদেশি বড় জাহাজের বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বাড়াতে ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় ব্যয়ে কেনা নতুন দুটি শক্তিশালী টাগবোট বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বন্দরে ভিড়বে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।।
চীনে তৈরি ‘কাণ্ডারী-৩’ ও ‘কাণ্ডারী-৪’ নামের টাগবোট দুইটি বুধবার রাতে চীন থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ৫০০০ বিএইচপি/৭০ টন বোলার্ড পুলের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দুটি নতুন টাগবোট কেনার লক্ষ্যে চলতি বছরের চীনের চিঅয় লি শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির কাজ সম্পন্ন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জাহাজগুলোকে সহায়তা দেয়া, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ-সংরক্ষণে সহায়তা দেয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এগুলো ব্যবহার হবে। এছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলক বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা, চট্টগ্রাম বন্দর/মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিগুলোতে অধিক সংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই টাগবোট সংগ্রহ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী টাগবোট দুটি বৃহস্পতিবার বন্দরের জেটিতে পৌঁছবে। এ লক্ষ্যে বন্দরের ১ নম্বর বার্থের নবনির্মিত সার্ভিস জেটিতে টাগবোট দুইটির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন টাগ দুইটির অপারেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বন্দরের নৌ বিভাগের ২০ জন মাস্টার, লস্কর, ইডিএল, ইডি নিয়ে ডেক সাইড ও ইঞ্জিন সাইডের টিম তৈরি করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাগর থেকে বন্দর জেটিতে সমুদ্রগামী জাহাজ আনা-নেওয়ার কাজে টাগবোটের সহায়তা নেয়া হয়। এছাড়া এক জেটি থেকে আরেক জেটিতে জাহাজ স্থানান্তরের সময়ও সাহায্যকারী জাহাজ হিসেবে টাগবোট ব্যবহৃত হয়। জাহাজ আনা-নেয়া ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণ, নদী ও সমুদ্রদূষণ রোধে এটি ব্যবহারের সুযোগ আছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি