পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা কোনো ক্ষতি করতে চায় না এবং যারা নিজেদের আক্রমণাত্মক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের সম্পদ ব্যবহার করতে চায় না তাদের সবার সঙ্গে যুক্ত হতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘চেঞ্জিং গ্লোবাল অর্ডার: সিকিউরিং বাংলাদেশ’স ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’- শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। আমরা ক্রমাগত আন্তর্জাতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করি।
তিনি আরও বলেন, অন্যের মুখাপেক্ষী হিসেবে না, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সঙ্গে তার নিজের স্বার্থে সম্পৃক্ত।
মোমেন বলেন, তারা ‘প্রথম যুক্তি নীতিতে’ বিশ্বাসী এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে আমরা আমাদের সার্বভৌম জাতীয় স্বার্থকে কল্পনা করি ও অর্জন করি। আমি বিশ্বাস করি যে কৌশলগত অবস্থান, সমৃদ্ধ জনশক্তি সুবিধা এবং একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার আমাদের দাবাবোর্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর মতোই বিশ্বাস করেন‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য’। তাই বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সুনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দিন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ১১ লাখ নির্যাতিত জাতিগত সংখ্যালঘুকে আশ্রয় দিয়ে আবারও বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যে ‘সবার উপরে মানবতা’। শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানাই।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল দেশ এবং এ দেশের জনগণ উন্নত নৈতিকতার ধারক ও বাহক। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে মহামারি পর্যন্ত, বন্যা থেকে খরা পর্যন্ত, আমরা আমাদের সাহস, আমাদের সহনশীলতা দেখিয়েছি এবং আমরা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছি।’
তিনি বলেন, তারা এমন একটি জাতি সর্বশক্তিমান যাদের প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ করেছেন। ‘যাই ঘটুক না কেন, ভবিষ্যতে আমাদের পথে যা-ই আসুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা জীবন্ত হয়ে উঠবে এবং কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’
মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা টিকে থাকব। গর্ব ও সম্মান নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র