অনলাইন ডেস্ক :
ইথিওপিয়ায় জাতিগত সহিংসতার বলি ২৬০ জন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় আক্রমণের ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ইথিওপিয়ার পশ্চিম ওরোমিয়া অঞ্চলে গাম্বি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু আমহারা সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর বন্দুকধারীরা এসে নির্বিচারে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ২৬০ থেকে ৩৫০ জন মারা গেছেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সহিংসতার সবচেয়ে বড় ঘটনা। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মানুষ, মানবাধিকার কমিশন, আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের দাবি, ওরোমো লিবারেশন আর্মি(ওএলএ) এই আক্রমণের পিছনে। তবে ওএলএ এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তারা বলেছে, সেনাই এর জন্য দায়ী। ইথিওপিয়ায় ওএলএ নিষিদ্ধ সংগঠন। তারা ওরোমো লিবারেশন ফ্রন্টের শাখা সংগঠন। এই ফ্রন্ট একসময় নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু অ্যাবি আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ওই ফ্রন্টের নেতারা দেশে ফেরেন। গতবছর ওএলএ-র সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের সমঝোতা হয়। তারপর তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। ওই আক্রমণের পরে বেঁচে যাওয়া একজন সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন,”আক্রমণকারীদের উদ্দেশ্য হলো, আমাদের এই অঞ্চল থেকে তাড়ানো। আমাদের বাড়ি ও সম্পত্তিও তারা নষ্ট করে দিয়েছে।” তিনি এখন প্রাণে বাঁচতে নিজের পৈত্রিক ভিটেতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি একটি খাদের মধ্যে লুকিয়ে পড়েছিলেন বলে বেঁচে গেছেন। কিন্তু তার আপন চার ভাই এবং খুড়তুতো তিন ভাই মারা গেছেন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু