November 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, June 22nd, 2022, 7:46 pm

ষষ্ঠবারের মত নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে ইংল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক :

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্ট জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে ইংলিশরা। তৃতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে ষষ্ঠবারের মত নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড। এর আগে তিন ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচবার হোয়াইটওয়াশ করেছে ইংলিশরা। আজ বৃহস্পতিবার হেডিংলিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। নতুন এক উদ্যেমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। গত বছরের বাজে পারফরমেন্সের কারণে কোচিং প্যানেলসহ অধিনায়ক ও কোচের পদও পরিবর্তন হয় ইংলিশদের। ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্বে আসেন নিউজিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি শূন্য। আর জো রুট সরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ম্যাককালাম-স্টোকসের যুগল কেমন হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা ছিলো ক্রিকেট মহলে। তবে জয় দিয়েই ম্যাককালাম-স্টোকস যুগের শুরু হয়েছে। ক্রিকেটের ‘মক্কা’ খ্যাত লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট জয় পায় ইংল্যান্ড। ফর্মের তুঙ্গে থাকা রুটের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ২৭৭ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে ইংল্যান্ড। ১১৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন রুট। নয়া অধিনায়ক বেন স্টোকস করেন ৫৪ রান। রুটের সাথে পঞ্চম উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন স্টোকস। নটিংহ্যামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আরও বেশি দাপট দেখায় ইংল্যান্ড। শেষ দিন ম্যাচ জিততে ৭২ ওভারে ২৯৯ রানের টার্গেট পায় ইংলিশরা। জনি বেয়ারস্টোর দানবীয় ইনিংসে ৫০ ওভারেই টার্গেট পূর্ণ করে স্বাগতিকরা। ৭টি ছক্কা ও ১৪টি চারে ৯২ বলে ১৩৬ রান করেন বেয়ারস্টো। ৭০ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন স্টোকস। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়। এক সময়ের সতীর্থ স্বদেশি ম্যাককালামের পরিকল্পনা মত খেলেই ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি বলেন, ‘ম্যাককালাম যেভাবে বলেছে, তারা সেভাবে খেলেছে। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য এটা নতুন এক পরিবর্তন। এটা দারুণ শুরু। দু’টো ম্যাচই দারুণ রোমাঞ্চকর ছিল। আশা করি, আমরা এমন আরও অনেক টেস্ট ম্যাচ দেখবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট হেরে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে আমরা। এটা খুবই হতাশার। তবে শেষ কয়েক বছর আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমাদের ড্রেসিং রুমে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে। সেসব অভিজ্ঞতা সবসময়ই কাজে দিবে। তাই জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করার লক্ষ্য আমাদের।’ তবে তৃতীয় টেস্টের আগে চিন্তায় ইংল্যান্ড। কারণ শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের সাথে অনুশীলন করেননি অধিনায়ক স্টোকস। বেশ কয়েক বার করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছে স্টোকসের। তাতে নেগেটিভ ফল এসেছে। তারপরও স্টোকসকে দলের অন্যান্যের থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ব্যাটিং কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক। তাই আইসোলেশনে আছেন তিনি। তারপরও জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ইংল্যান্ডের। মিডল-অর্ডার ব্যাটার বেয়ারস্টো বলেন, ‘দুই টেস্টেই আমরা ভালো খেলেছি। জয়ও পেয়েছি। এই জয়গুলো আমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন ছিলো। আমাদের আত্মবিশ^াস অনেকখানি বেড়ে গেছে, যা কি-না তলানিতে ছিলো। তবে আমরা এখন যেকোন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের জন্য প্রস্তুত।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পর্যন্ত ১০৯ টেস্ট খেলে ৫০টিতে জয় পেয়ে ইংল্যান্ড। ১২টি জয় নিউজিল্যান্ডের। ড্র হয়েছে ৪৭টি।