সিলেট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার ফের বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বন্যা দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, বন্যার প্রভাবে ইতোমধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এ অবস্থায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয়ার মানে হচ্ছে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। এতে সিলেটবাসীকে শতাব্দির সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
সিলেটের বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট এখনও অর্ধেকেরও বেশি পানির নিচে বলে জানা গেছে।
তবে বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পানি স্থির হয়ে আছে। বালাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তো রীতিমতো অসংখ্য মানুষ তাবু বাস করছেন। অসংখ্য পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যান্য উপজেলাগুলোর চিত্রও প্রায় এক।
এই অবস্থায় সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আগামী কয়েক দিন সিলেটে বৃষ্টি হতে পারে। ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটের দিকে পাহাড়ি ঢল নামবে। এতে আবারও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, সিলেট নগরে মঙ্গলবার সকালে ও রাতে বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, আগামী কয় দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। এতে পানি বৃদ্ধি পাবে কি না, আগেই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। এতে ফের বন্যার শঙ্কা আছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি