জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
বন্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজারের প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট এখনো পানির নীচে তলিয়ে আছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক, বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়ক, বিয়ানীবাজার-সারোপার সড়কের বিভিন্নস্থান দিয়ে এখনও বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কের কিছুস্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে।
পানি ঢুকে অনেক যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। যার কারণে চালক-যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সুযোগে যানবাহন চালকরা ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন।
সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারগামী বাসের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিবহণ শ্রমিকরা নিজেদের খেয়াল খুশীমত ভাড়া আদায় করছেন। সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারে আসা বাসের প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ১২০-১৫০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। সিএনজি অটোরিক্সায় গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। টমটম, রিক্সা ভাড়াও বেড়েছে। পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিয়ানীবাজারে জিনিসপত্রের দাস বেড়েছে কয়েকগুণ।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সাথে গ্রামীন যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারে আসার পথে গাছতলা, রামদা, মেওয়া, কাকরদিয়া, বৈরাগী এলাকার প্রধান সড়কে এখনো হাটুঁ সমান পানি রয়েছে।
এতে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। বেশির ভাগ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত মোটর সাইকেল বন্ধ হওয়ায় মিনিট্রাক, বাসে করে মানুষ যাতায়াত করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও হাটুর নিচে পানি। পানি মাড়িয়ে মানুষজন চলাচল করছেন। এজন্য ছোট যানবাহন খুবই কম চলাচল করছে। যেগুলো চলছে সেগুলোতে পানি ঢুকে বিকলও হচ্ছে। এতে চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছুস্থানে পানি নেমে যাওয়ায় বড় বড় গর্ত বের হয়েছে।
অটোরিকশা চালক ফারুক, আইয়ূব মিয়া বলেন, ‘বন্যার পানি উঠার পর গাড়ি বের করতে পারি না। রাস্তায় পানি থাকার কারণে গাড়ির ইঞ্জিলে পানি ঢুকে যায়।
আরিফ হোসেন নামের এক পথচারী বলেন, পানি ওঠায় রাস্থায় বড় বড় গর্ত হয়েছে। পানি থাকায় গর্তগুলো দেখা যায় না, তাই গাড়ি গুলো পড়ে যায়। এসব গর্তে প্রায় সময় এখানে দূর্ঘটনা ঘটছে।
ঘুঙ্গাদিয়া থেকে পৌরশহরে আসা শাহীদুর রহমান অভিযোগ করেন, পানির কারণে বিয়ানীবাজারে আসা-যাওয়া করতে এখন ২০০ টাকা লাগে। অপ্রত্যাশিত এই দূর্ভোগের দায় কে নেবে।
শেওলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আখতার হোসেন খান জাহেদ বলেন, বাড়ি থেকে বের হলেই পানি। চারাবই থেকে বিয়ানীবাজারে নৌকাযোগে আসতে ৭-৮শ’ টাকা লাগে। এক ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছেন পানিবন্ধি গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি