নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরইমধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চাপ বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের। তবে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি বা লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঘাটে আসছেন তারা। বুধবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট হয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে ঘরমুখো মানুষকে দেখা যায়। ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটরসাইকেলও আসছে। ভোগান্তি না থাকায় সবার মুখেই হাসি দেখা গেছে। দৌলতদিয়া থেকেও ভোগান্তি ছাড়া নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রী আসিফ মাহমুদ, রোকনুজ্জামানসহ কয়েকজন বলেন, ভোগান্তি ছাড়া এবারই প্রথম বাড়ি ফিরছি।
বাড়তি কোনো ভাড়াও দিতে হয়নি। দৌলতদিয়া প্রান্তে অনেক গাড়ি আছে। নিরাপদে বাড়ি যেতে পারবো। কোনো ধরনের ভোগান্তি না থাকায় এবারের ঈদ আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ভোগান্তি কমেছে পদ্মা সেতুর কারণে। মাহিন্দ্রাচালক খলিলুর রহমান বলেন, যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। সময় যত বাড়বে ততই যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এবার যাত্রীরা সহজেই গাড়ি পাচ্ছে। বাড়তি ভাড়াও নিচ্ছেন কেউ। এদিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের কোনো সারি দেখা যায়নি। এরপরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী ও পশুবাহী যানবাহন আগে পারাপার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭৩০টি যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে নদী পার হয়েছে। এরমধ্যে বাস ১১০টি, ট্রাক ৪০০টি ও ছোট গাড়ি ২২০টি।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি