November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 18th, 2022, 8:47 pm

সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া সেই শিশুর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের দাবিতে রিট

ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মা-বাবা ও বোন হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওযা নবজাতকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং কল্যাণ নিশ্চিতের দাবিতে রিট করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনা তদন্ত করতে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কানিজ ফাতেমা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

রিটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে বিবাদী করা হয়।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি থেকে এ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি খিজির আহেমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো.জাকির হোসেনের অবকাশকালীন বেঞ্চে এ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

শিশুটির স্বজনরা জানান, শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং ছয় বছরের শিশুকন্যা সানজিদাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। পরিকল্পনামতো ত্রিশালের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্টাসনোগ্রাম করে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় হঠাৎ বেপরোয়া একটি মালবাহী ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনজনই নিহত হন।

তবে দুর্ঘটনার সময় মায়ের পেটের ওপর দিয়ে মালবাহী ট্রাকের চাকা চলে গেলেও অলৌকিকভাবে মায়ের পেট ফেটে ফুটফুটে এক নবজাতকের জন্ম হয়। তবে নবজাতকের ডান হাতের দুটি হাড় ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা তাৎক্ষণিক ওই নবজাতককে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক চিকিৎসাধীন ওই শিশুকে দেখতে গিয়ে শিশুটির চিকিৎসাসহ সব ধরনের দায়িত্ব নেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, শিশুটির চিকিৎসা খরচসহ ভবিষ্যতের জন্য তার নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রত্না বেগমের আরও দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মা-বাবার সঙ্গে ছয় বছর বয়সী সানজিদা আক্তারের মৃত্যু হয়। অন্য দুজন হলো- ১০ বছরের মেয়ে জান্নাত ও সাত বছর বয়সী ছেলে এবাদত।

—ইউএনবি