নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য সকাল বেলা একটা, বিকাল বেলা আরেকটা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে বিএনপি নতুন কোনো ব্যবস্থায় নির্বাচনে এলে আপত্তি নেই বলে করা সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র যেসব দেশে আছে সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হয়। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউকে এবং ইউরোপের দেশগুলোতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। সে সমস্ত দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় অর্থাৎ যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছিল তারাই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্লোগান দিয়ে, স্বপ্ন দেখে কোন লাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য তো সকাল বেলা একটা থাকে, বিকাল বেলা আরেকটা থাকে। একটি বক্তব্য দেয়ার পরে আবার পরে সেটি তিনি (সিইসি) প্রত্যাহার করেন। সুতরাং এ নিয়ে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না, উনি ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
নড়াইলে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নড়াইলের ঘটনার পর সেখানে অভিযুক্ত যে ছেলেটির পোস্টের মাধ্যমে এই ঘটনাটি ঘটেছে, তার বাবাকে এবং হামলার অভিযোগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকেও গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া চলছে। এর পেছনে কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটিও খতিয়ে বের করা হবে। অতীতে যেমন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গ্রামের পর গ্রাম নির্যাতন চালিয়েছিল, জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য আমাদের লঙ্গরখানা খুলতে হয়েছিল, আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছিল। ধর্মীয় অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং এবং সেই প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলের মুখপাত্র হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব। তাই যিনি প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের মুখপাত্র, তিনি এ ধরনের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাবেন, সেটি খুবই স্বাভাবিক। এ ধরনের ঘটনা যখন ঘটেছে আমাদের সরকার তখনই তড়িৎ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কারণ আমাদের দল অসাম্প্রদায়িক দল, আমাদের দল অসাম্প্রদায়িকতাকে লালন করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটার পেছনে সব সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুক। আমি মনে করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়-দায়িত্ব আছে। এই যে ঘটনাগুলো ঘটে, ফেসবুকে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে তারপর সেটিকে গুজব রটিয়ে দিয়ে সেটির মাধ্যমে যে ঘটনা ঘটালো, এটির জন্য তো সার্ভিস প্রোভাইডারদের দায়িত্ব আছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র