জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
শনিবার রাতে মাত্র একঘন্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকা। বাড়িঘরে ঢুকে পরে পানি। এখনও বন্যা ধকল কাটিয়ে উঠতে না পারা নগরবাসীর জন্য শনিবার রাতের জলাবদ্ধতা চরম দুর্ভোগ বয়ে আনে। ঘন্টাখানেকের বৃষ্টিতে পুরো নগর জলমগ্ন হয়ে পরায় সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও বন্যার পর ড্রেন পরিচ্ছন্ন না করাকে দায়ী করছেন নগরবাসী। এনিয়ে সমালোচনার মুখে সাময়িক জলাবদ্ধতা ও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে রোববার রাতে জরুরী বৈঠক ডাকেন সিটি মেয়র।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সিলেটের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, দপ্তর সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর মো. ছয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর এম এম শওকত আমীন তৌহিদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, শাবিপ্রবি’র অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর, জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়েব আহমেদ মতিন, আইইবি সিলেটের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিডিবি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করীম, নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ, আওবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী, পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা, বিটিসিএল সিলেটের উপ মহাব্যবস্থাপক মিহির রায়, ব্যবস্থাপক-২ মো. আব্দুল মান্নান, গ্রহায়ণ কতৃপক্ষ সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বাদল কুমার মন্ডল, পিডিএসডিপি’র কনসালটেন্ট মো. কাইয়ূম হোসেন, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছোবহান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী জয়েদেব বিশ্বাস, আরবান প্লানার মো. তানভীর রহমান মোল্লা, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান প্রমুখ।
বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সিলেটে অতিবৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যে সবাইকে ধৈর্য ও সাহসের সাথে মোকাবিলা করার আহবান জানান মেয়র।
সিসিক মেয়র বলেন, শনিবার রাতের অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টির ফলে সাময়িক দুর্ভোগ হয়েছে নগরবাসির। এমন পরিস্থিতির আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যায়নি। তবে, আবহাওয়া অফিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এমাসেই বেশি ঘনত্বের বৃষ্টিপাতের আরো সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমরা আগাম সতর্কতামূল ব্যবস্থা ও নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেছি।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সিসিক অতীতের ন্যায় সকলের পরামর্শের ভিত্তিতে উদ্যোগ নেবে। ইতিমধ্যে উপশহরসহ নগরীর অধিকাংশ ছড়া, খাল ও ড্রেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি