November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 20th, 2022, 9:03 pm

আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর

ফাইল ছবি

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছে- একটি গণমাধ্যমের এমন খবর নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য কোনো প্রস্তাব করিনি; আইএমএফও আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত দুইটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল দেশে সফররত এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে, আইএমএফের একটি পরামর্শক কমিটি এখন দেশে সফর করছে যার কোনো ঋণ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কোনো বিষয় নেই। এই মুহূর্তে আমাদের আইএমএফ থেকে কোনো ঋণের প্রয়োজন নেই। আমরা কোনো অর্থায়নের জন্য কোনো অনুরোধ করিনি; আইএমএফ থেকেও কোনো প্রস্তাব আসেনি।’
আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়া হলেও দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো শর্ত বাংলাদেশ কখনোই মেনে নেবে না বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আইএমএফের করা দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি, আইএমএফেরটা সহ। আন্তর্জাতিক মাল্টিপল ফাইন্যান্সিং এজেন্সিকে বাংলাদেশের ঋণ মাফ করতে হয়নি।’
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের ভিন্ন হিসাব রয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও উড়িয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশের হিসাব মতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । তবে আইএমএফের হিসাব মতে এটি আরও অনেক কম।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করছি।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে সাত শতাংশের বিষয়েও দ্বিমত পোষণ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি এই ধরনের সংখ্যা স্বীকার করি না। মুদ্রাস্ফীতি কখনো সাপ্তাহিক বা দৈনিক ভিত্তিতে গণনা করা হয় না… কোনো দেশই এমনভাবে হিসাব করে না।’

—-ইউএনবি