অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘পাওয়ার হিটার’ এক আক্ষেপের নাম। যার অভাবে বিশেষ করে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বড় স্কোর গড়তে পারছে না। কেননা এই ফরম্যাটে সফল হতে স্কিল, টেকনিকের পাশাপাশি ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়েও দক্ষতা থাকতে হয়। কিন্তু টপ অর্ডার হোক, মিডল অর্ডার কিংবা লেট অর্ডার- বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই জায়গাতে ঘাটতি রয়েই গেছে। জাতীয় দলের বোলিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান একপ্রকার স্বীকারই করে নিয়েছেন পাওয়ার হিটিংয়ে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কথা। তার মতে, ‘বাংলাদেশের ব্যাটাররা চাইলেই আন্দ্রে রাসেল কিংবা কিয়েরন পোলার্ডের মতো পাওয়ার হিটার হতে পারবে না।’ সোমবার মধ্যরাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিন ক্রিকেটার। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) একই সময়ে বাকি ক্রিকেটাররা দেশ ছাড়বেন। সেই দলে আছেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান। দেশ ছাড়ার আগে কুড়ি ওভারে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রসঙ্গ সামনে এনেছেন, ‘দেখুন, আমরা বাংলাদেশি, আমরা কেউই পাওয়ার হিটার না। চাইলেই আন্দ্রে রাসেল বা পোলার্ড হতে পারবো না। সামর্থ্যরে মধ্যে যেটুকু আছে তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়।’ পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতির জন্য পাওয়ার হিটিং কোচ দরকার বলে মনে করেন মেহেদী, ‘হ্যাঁ, পাওয়ার হিটিং কোচের দরকার। তবে যে স্কিল আছে, কোচ হয়তো ১০ শতাংশ এগিয়ে দেবে। কিন্তু ৩০ শতাংশকে ১০০ শতাংশে পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা জন্মগতভাবেই এরকম। মনে হয় না রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব।’ এখন সামর্থ্যরে বাইরে গিয়ে খেলা সম্ভব নয় বলেই জানালেন তিনি, ‘আমরা প্রায় ১৫ বছরের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি। হলে আরও আগেই হয়ে যেত। যেহেতু হচ্ছে না, এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। পাওয়ার হিটিংয়ের কথা সবসময়ই আসে। কিন্তু এটা ঠিক না। সামর্থ্যরে বাইরে চাইলেও করতে পারবো না। এটা আপনাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা