অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ (গত বছরের জুলাইতে) জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দল থেকে বাদ পড়লেও নির্বাচকদের রাডারের মধ্যেই ছিলেন। শুক্রবার ‘এ’ দলের দায়িত্ব নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছেন উইকেটকিপার ব্যাটার। অবশ্য জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগে মিঠুনকে বহু সমালোচনা ও ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল। মিঠুন সেসব মাথায় না নিয়ে নিজের কাজটুকু করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলে গেছেন তিনি। ভালো খেললে ক্রিকেটারদের নিয়ে তীব্র মাতামাতি হয়। আবার খারাপ খেললে হয় তীব্র সমালোচনা। তবে সমালোচনার চাপ সামলে নিজের কাজটা ঠিকঠাক মতো করতে পারলেই সাফল্য ধরা দেয়। মিঠুনও সেই মন্ত্রেই চলার চেষ্টা করছেন। যাওয়ার আগে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। এগুলো সামলানোর মতো চাপ না থাকলে আমি ক্রিকেট খেলতে পারবো না। সেটা সামলানোর মতো মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে। এজন্য আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সময় পেয়ে ক্রিকেটে ফিরেছি, ক্রিকেট খেলছি। এখন একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে কীভাবে সর্বোচ্চটা দিতে পারি, সেখানেই পূর্ণ মনোযোগ। আর কোন দিকে কী হচ্ছে তা আমার ভাববার ব্যাপার না, ভাবিও না।’ সর্বশেষ জাতীয় লিগে ডাবল সেঞ্চুরিসহ চার ম্যাচে মিঠুনের রান ৪৬৮। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনেও সাফল্য পেয়েছেন। ১১ ম্যাচে ৩৬.৩৩ গড়ে তার রান ৩২৭। সেঞ্চুরিও ছিল একটি। জাতীয় দলে ফেরার মিশনে মিঠুনের লক্ষ্য এখন ক্যারিবীয় দ্বীপে ভালো করা। ২৯ জুলাই প্রায় এক মাসের সফরের জন্য দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে প্রথম চারদিনের ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১০ আগস্ট থেকে। ১৬, ১৮ ও ২০ আগস্ট হবে একদিনের সিরিজের তিন ম্যাচ। সফরটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করেন মিঠুন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে ‘এ’ দলে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। আমরাও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে আগেও খেলেছি। ভবিষ্যতে জাতীয় দলে যারা খেলবে, ওদের ‘এ’ দলেও তারাই খেলে। ‘এ’ দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক শক্তিশালী। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হবে। ওখানে ভালো করতে পারলে আন্তর্জাতিক মানের না হলেও কাছাকাছি ফ্লেভার পাওয়া যাবে।’ মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়াও সফরে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া বেশ কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন। তারা হচ্ছেন- সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, নাঈম শেখ। বোঝাই যাচ্ছে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে একে অন্যের সঙ্গে লড়তে হবে ক্রিকেটারদের। মিঠুন যদিও এমনটা মনে করছেন না, ‘নিজেদের মধ্যে কোনও লড়াই নেই। দলের কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী না। আমরা পারফর্ম করার জন্য সেরা চেষ্টাই করছি। অন্য কে কী করলো এটা নিয়ে ভাবি না। আমি কী করছি সেদিকেই মনোযোগ।’ অধিনায়কত্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে মিঠুন বলেছেন, ‘আপনি যদি বলেন চ্যালেঞ্জ, হ্যাঁ অবশ্যই এটা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে চাপ মনে করি না। আর আমরা ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছি, জাতীয় দল না। হয়ত এখানে কেউ ভালো করলে দলে প্রয়োজন হলে তাকে নেওয়া হবে। তবে আমরা ‘এ’ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা