অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের সেনাশাসকরা জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাশাসকরা। তারপর থেকে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থায় সেনা ও পুলিশের হাতে বাড়তি ক্ষমতা থাকে। তারা যেকোনো মানুষকে বন্দি করতে পারে এবং তাকে আটক রাখতে পারে। মিয়ানমারের সেনা শাসকদের দাবি, সে দেশে স্থায়িত্ব নিয়ে আসার জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মিডিয়া এমআরটিভি-কে জানানো হয়েছে, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে মানানসই পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনে সে কারণে পরিবর্তন দরকার। মানুষকে নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে। এজন্য এই সময়টা জরুরি অবস্থার মধ্যে রাখা হচ্ছে মিয়ানমারকে। গত সপ্তাহে সেনাশাসকরা চারজন গণতন্ত্রপন্থীকে ফাঁসি দিয়েছে। তিন দশকের মধ্যে প্রথমবার চারজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে সে দেশে। সেনা অভ্যুত্থানের পর দুই হাজার ১০০ বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য জাপানের এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার ইয়াঙ্গুন থেকে তাকে আটক করা হয়। জাপান দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক করে রাখা জাপানের ওই নাগরিকের বয়স ২০-র কোঠায়। সূত্র: বিবিসি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু