ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) এক নেতা বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এতে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত নূরে আলম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বপন জানান, রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে এর নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম